Coal Scam: সিআইডি রেডারে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শুক্রবার ভবানিভবনে তলব আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রকে
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘প্রশাসনিক অসহিষ্ণুতা বলতে যা বঝায় তাই। সংস্থাগুলকে যুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে দুর্নীতির কাজের সঙ্গে। এবং বাছা বাছি করে তৃনমূল হলে সিবিআই। বিজেপি হলে সিআইডি এর মধ্যে দিয়ে বহমান লুঠ এবং পারস্পরিক দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। মলয় ঘটককে সিবিআই ডেকেছে তা একশভাগ ঠিক। জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ডাকেনি কেন’?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কয়লা পাচার তদন্তে এবার নতুন মোড়। কেন্দ্রীয় তদন্তও সংস্থার নজরে এবার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁকে তলব করেছে সিআইডি। আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রকে আগামিকাল আসতে বলা হয়েছে সিআইডি-র দফতর ভবানিভবনে। প্রায় দেড় বছর আগে এই মামলার তদন্তও শুরু করে সিআইডি। সিবিআই যখন এই মামলার তদন্ত শুরু করে তখন আসানসোল জেলা পুলিসের তরফে একটি মামলা রুজু করা হয়। এরপরেই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। এবং ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। শুক্রবার সকাল ১১টায় ভবানিভবনে আসতে বলা হয়েছে তাঁকে।
যদিও জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন যে তিনি এখনও কোনও নোটিশ পাননি। অন্যদিকে সিআইডি সূত্রের দাবি এই মামলার তদন্তও করতে গিয়ে প্রায় আট থেকে দশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে সম্প্রতি হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বেশ কিছু তথ্যও প্রমানের ভিত্তিতে জিতেন্দ্রকে তলব করা হয়েছ বলেও জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে যে আসানসোল অঞ্চলে বেআইনি কয়লা পাচারের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি একটা মামলা রাজ্য পুলিস করে যার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। এখানি বেআইনিভাবে কয়লা তোলা এবং কয়লা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সিআইডি-র দাবি এই মামলার তদন্তে নেমে বেশ কিছু মানুষের লিঙ্ক খুঁজে পেয়েছে তারা। এদের মধ্যে অন্যতম আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এই কারণেই তাদের হাতে উঠে আসা তথ্যও প্রমাণের ভিত্তিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বয়ান রেকর্ড করা প্রয়োজন বলে মনে করা হয়েছে।
বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘জিতেন্দ্র তিওয়ারি অনেকদিনের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। তৃনমূলের বহু কঠিন দিনের সঙ্গী ছিলেন তিনি। আজকে তিনি তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করে বিজেপি-তে এসেছিলেন। কোনটা প্রতিহিংসা, কোনটা অসহিষ্ণুতা, কোনটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, এটা মানুষের চোখে পরিষ্কার। যেকোনঅ ধরণের তদন্তও ফেস করতে বিজেপি প্রস্তুত। কিন্তু আমার মনে হয় এই তলব আইনসঙ্গত নয়’।
আরও পড়ুন: Weather Report: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, পুজোর আগে ফের নিম্নচাপ বাংলায়! জারি বৃষ্টির সতর্কতা
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘প্রশাসনিক অসহিষ্ণুতা বলতে যা বঝায় তাই। সংস্থাগুলকে যুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে দুর্নীতির কাজের সঙ্গে। এবং বাছা বাছি করে তৃনমূল হলে সিবিআই। বিজেপি হলে সিআইডি এর মধ্যে দিয়ে বহমান লুঠ এবং পারস্পরিক দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। মলয় ঘটককে সিবিআই ডেকেছে তা একশভাগ ঠিক। জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ডাকেনি কেন’?
তৃনমূল নেতা শান্তনু সেন জানিয়েছে, ‘বিগত কয়েক বছরে দেশে ৫৭০ জন বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই কে কাজে লাগানো হচ্ছে সেটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়নতা নয়। ২১ জুলাইয়ের পরেই তদন্তও সংস্থার রেড কী রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়নতা নয়’?
তিনি আরও বলেন লোডশেডিং-এ যেটা বিরোধী দলনেতার নাম থাকা সত্তেও তাঁকে ডাকা হচ্ছে না বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।