পাহাড় মামলা: বাহিনী নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা তুঙ্গে
পাহাড় মামলায় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা। ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি। অনড় মনোভাব ছেড়ে দুপক্ষকে আলোচনায় বসার নির্দেশ। সমাধান সূত্রে পৌছতে সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কাল আদালতে সব তথ্য তুলে ধরার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির।
ওয়েব ডেস্ক: পাহাড় মামলায় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা। ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি। অনড় মনোভাব ছেড়ে দুপক্ষকে আলোচনায় বসার নির্দেশ। সমাধান সূত্রে পৌছতে সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কাল আদালতে সব তথ্য তুলে ধরার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির।
বিচারঘরে বাকযুদ্ধ। তাও আবার সেনা নিয়ে। পাহাড় মামলায় কেন্দ্র-রাজ্য তরজা তুঙ্গে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ছিল। রাজ্যের প্রতিনিধি ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। বিপক্ষে কেন্দ্রের আইনজীবী কৌশিক চন্দ। শুনানিতে কৌশিক চন্দ বলেন, দার্জিলিংয়ে অতিরিক্ত বাহিনী দেওয়া যায় কিনা, এটা বিবেচনার বিষয়। কোথায় কী বাহিনী মোতায়েন হয়েছে? রাজ্যে কত স্পেশাল ফোর্স রয়েছে? এসব তথ্য আমরা রাজ্য সরকারকে জানাতে বলেছি। এই নকশা হাতে পেলে বোঝা সম্ভব রাজ্যের অতিরিক্ত বাহিনী দেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা। জবাবে রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, কেন্দ্র এভাবে আগে আমাদের জানায়নি। কোর্টের মধ্যে দাঁড়িয়ে এই তথ্য দেওয়া অসম্ভব। কেন্দ্রের আইনজীবী দাবি করেন, রাজ্যকে বাহিনীর বিষয়ে আগেই আগেই জানানো হয়েছে।
শুনানি কক্ষের বাইরে এসে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে ফোন করেন। ফোনালাপের পর রাজ্যের আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে জানান, কেন্দ্র এধরনের কোনও তথ্য রাজ্য সরকারের কাছে কাছে জানতে চায়নি। জবাবে কেন্দ্রের আইনজীবী কৌশিক চন্দ বলেন, কেন্দ্র নিশ্চয় জানিয়েছে। ফোনে কথা হয়েছে। দুপক্ষের তুমুল বাকবিতণ্ডায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। তিনি বলেন, পাহাড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। বাহিনী নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য নিজেদের অনড় মনোভাব থেকে সরে আসুক। দুপক্ষকে কথা বলে, মঙ্গলবারের মধ্যে সমাধান সূত্র বের করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কেন্দ্র বাহিনী নিয়ে যা জানতে চায়, রাজ্যকে লিখিত ভাবে জানাক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তার উত্তর দিক রাজ্য।