ভাঙড়কাণ্ডে হাইকোর্টের ভর্ত্সনার মুখে পুলিস
দিনদুপুরে পুলিসের সামনেই গুলি চলল। তবু ২ মাস পরেও কেউ গ্রেফতার হল না কেন? এডিজি সিআইডির উপস্থিতিতেই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। জুন মাসে ফের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে পুলিসকে।
ওয়েব ডেস্ক: দিনদুপুরে পুলিসের সামনেই গুলি চলল। তবু ২ মাস পরেও কেউ গ্রেফতার হল না কেন? এডিজি সিআইডির উপস্থিতিতেই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। জুন মাসে ফের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে পুলিসকে।
পাওয়ার গ্রিডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ১৭ই জানুয়ারি ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মফিজুল ইসলাম। সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। বৃহস্পতিবার হল তারই শুনানি। এডিজি-সিআইডির উপস্থিতিতেই পুলিসকে একহাত নিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। আদালতকে সরকারি আইনজীবী জানান ভাঙড়কাণ্ডের ব্যালাস্টিক রিপোর্ট পুলিসের হাতে এসেছে। জবাবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি প্রশ্ন তোলেন, পুলিস কী পদক্ষেপ নিতে পেরেছে তা জানাক। তাঁর প্রশ্ন, পুলিস বলছেন দেশি বন্দুক থেকে গুলি চলছে। কিন্তু, গুলি যে চালাল তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিসের সামনে গুলি চললেও দোষী ব্যক্তি চিহ্নিত হল না। শুধু তাই নয়, প্রত্যক্ষদর্শীদের যে সব বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিস তার মধ্যেও অস্বচ্ছতা রয়েছে।
দোষীরা যতই প্রভাবশালী হোক, তাদের ধরে আনতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। জুন মাসে ফের তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে সিআইডিকে। (আরও পড়ুন- ৫ ধর্মের ৫ বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টে আজ থেকে তিন তালাকের বৈধতা নিয়ে শুনানি শুরু)