বাবাকে খুনের দায় থেকে বাঁচাতে খুন করেছে ছেলেই, বার্নপুর হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য
বাবাকে খুনের দায় থেকে বাঁচাতে খুন করেছেন ছেলে। চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য উঠে এল বার্নপুরের কেটারিং ব্যবসায়ী রানা বন্দ্যোপাধ্যা খুনে। শনিবার ঘটনাস্থলে ধৃতদের নিয়ে খুনের পুনর্নির্মাণ করায় হীরাপুর থানার পুলিশ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাবাকে খুনের দায় থেকে বাঁচাতে খুন করেছেন ছেলে। চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য উঠে এল বার্নপুরের কেটারিং ব্যবসায়ী রানা বন্দ্যোপাধ্যা খুনে। শনিবার ঘটনাস্থলে ধৃতদের নিয়ে খুনের পুনর্নির্মাণ করায় হীরাপুর থানার পুলিশ।
পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, রানাকে খুনের মূল পরিকল্পনা ছিল মিলটন সেনের। কিন্তু সেই পরিকল্পনা জেনে ফেলেন মিলটেনর ছেলে সাগর। বাবাকে খুনের দায় থেকে বাঁচাতে রানাকে নিজেই খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। অজয় হাঁড়ি ও সুভাষ মন্ডলকে নিয়ে রানাকে খুনের ছক করে সে।
পরিকল্পনা অনুসারে বড়ি ময়দানের কাছে ফোন করে ডাকা হয় রানাকে। ইস্কো আবাসনের এক অফিসারের বাড়িতে ক্যাটেরিংয়ের দায়িত্ব পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে রানাতে ডাকে দুষ্কৃতীরা। এরপর একটি মোটর সাইকেলে করে সাগর, সুভাষ ও অজয় এবং অন্য একটি বাইকে রানা ও তার মাসতুতো ভাই মিঠুনকে নিয়ে যায় নবঘন্টির কাছে রিভারসাইডে ইস্কো আবাসনে গোলপার্কের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায়। সেখানে রানাকে আলাদা করে ডেকে নিয়ে যায় সাগর, সুভাষ ও অজয়। কিছুদুরে দাঁড়িয়ে ছিল মিঠুন।
সেখানে বচসা বাঁধে সাগর ও রানার। সেই সময় রানা উত্তেজিত হয়ে সুভাষ ২ -৩ রাউন্ড গুলি চালায়। প্রাণ বাঁচাতে নবঘন্টি গ্রামের দিকে দৌড়য় রানা । দূরে দাঁড়িয়েছিল মিঠুন। তাকে লক্ষ্য করে 9 MM পিস্তল থেকে গুলি চালায় সাগর। সাগর রানাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে গেলে বন্দুক লক হয়ে যায়। তখন সুভাষের কাছ রাখা ছোট বন্দুক নিয়ে তা দিয়ে লাগাতার গুলি চালাতে চালাতে থাকে সাগর। নবঘন্টির পিছনদিয়ে একটি ফাঁকা জায়গায়, গুলি লেগে পড়ে যায় রানা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে সাগর ও অজয় পর পর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এরপর মিল্টনকে ফোন করে সাগর জানায়, রানা খতম। শুনে মিলটনও ছুটে আসে রিভারসাইড এলাকায়। ছেলে সাগর ও বাকি দু'জনকে নিয়ে মিলটন রিভার সাইড দিয়ে মটর সাইকেলে শহরেই ফিরে যায়।
এদিন পুনর্নির্মাণের সময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি গুলির খোল ও লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। প্রমাণ হিসাবে সেগুলি আদালতে তুলে ধরবেন তদন্তকারীরা।