Canning: খাট ভাঙা নিয়ে বিবাদের জেরে ভাইকে কাটারি দিয়ে কুপিয়ে 'খুন' দাদার...
Murder in Canning: খাট ভাঙা নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। সেই বিবাদের জেরে ছোট ভাইকে কুপিয়ে খুন দাদার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। উত্তপ্ত ভাঙড় উত্তর কাশীপুর থানার পশ্চিম কাঠালিয়া এলাকা।
প্রসেনজিৎ সরদার: খাট ভাঙা নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। আর সেই বিবাদের জেরে ছোট ভাইকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে। মৃত যুবকের নাম রনি মোল্লা ওরফে আসিফ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় উত্তর কাশীপুর থানার পশ্চিম কাঠালিয়া এলাকায়।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, একটা খাট ভাঙা নিয়ে ছোট ভাই ও বড় ভাইয়ের পরিবারের মধ্যেই পারিবারিক বিবাদ হয়। এরপর গভীর রাত্রে সেই বিবাদ চরমসীমায় পৌঁছয়। আর সেই বিবাদের জেরে ছোট ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে বড় ভাই। এমনই অভিযোগ মৃত যুবকের মায়ের। এরপর ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। আর সেখানেই চিকিৎসাচলাকালীন মৃত্যু হয় যুবকের। এই ঘটনায় বড় ভাইকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
এদিকে ভোটের দু'দিন আগে রক্তাক্ত নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি সমর্থক খুন হলেন। নাম রথীবালা আড়ি। অভিযোগ, বুথ পাহারা দেওয়ার সময়ে আচমকা তাঁর উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয় ওই মহিলা বিজেপি সমর্থকের। মৃতের ছেলে-সহ সাত জনকে ধারাল অস্ত্রের কোপ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিজেপির। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও তৃণমূলযোগের অভিযোগ অস্বীকার করেছে জোড়াফুল শিবির। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে নন্দীগ্রাম থানা।
নন্দীগ্রাম উত্তপ্ত ছিলই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে থেকেই সেখানে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের আবহ ছিল বলে সূত্রের খবর। ছিল বোমাবাজি, মারধর, গাড়ি ভাঙচুর! যেন তারই জেরে এই দুর্ঘটনা। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মনসাতলায় ভোটের দুদিন আগে খুন ওই বিজেপি মহিলা সমর্থক। আহত হয়েছে আরও সাত জন বিজেপি সমর্থক। বুথ পাহারা দেওয়ার সময় আচমকা তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয় ওই মহিলা বিজেপি-সমর্থকের। রথীবালা আড়ির ছেলে গুরুতর আহত হন। তাঁকে কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি আহত কর্মীরা নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নন্দীগ্রাম থানার পুলিস কাউকে গ্রেফতার করেনি। তদন্ত চলছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)