চিকিত্সার গাফিলতিতে মৃত্য শিশুর, অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত পরিবারের
যেহেতু কোনও ছোট শিশুর শরীরেই সূর্যপ্রভর অঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে হবে তাই স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক করে অঙ্গ গ্রহীতার খোঁজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
![চিকিত্সার গাফিলতিতে মৃত্য শিশুর, অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত পরিবারের চিকিত্সার গাফিলতিতে মৃত্য শিশুর, অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত পরিবারের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/03/19/181730-main.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেন: সূর্যপ্রভর জ্বর আসছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। প্রাথমিকভাবে ওষুধ দেওয়া হলেও শনিবার সকাল থেকেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এদিন তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে শেষে নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতলে ভর্তি করা হয় বছর ছয়ের সূর্যপ্রভকে। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়েছে সে। সোমবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয় ব্রেন ডেথ হয়েছে খরদার মিশন রোডের বাসিন্দা সূর্যপ্রভর।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসাটুকুও পায়নি ওই খুদে। নিউটাউনের ওই হাসপাতলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় অ্যাপেলোতে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষাও করা হয় সূর্যপ্রভর। শনিবার ভর্তি করার পর নিউরো সার্জন বা নিউরো মেডিসিন ডাক্তারের খোঁজ মেলেনি। সোমবার এসে পৌঁছান সেই চিকিত্সক। রোগীর পরিবারের সঙ্গে বচসা বাঁধলে কর্তৃপক্ষের থেকে কোনও উত্তর মেলেনি এবিষয়ে।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধদের জন্য বিশেষ বিভাগ, আরও একাধিক পরিষেবা যোগ হল কলকাতা মেডিক্যালে
তবে এত কিছুর পরও নিজেদের কর্তব্যের কথা ভোলেননি সূর্যপ্রভর বাবা-মা। ছেলের ব্রেনডেথের পর তার পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন সূর্যপ্রভর অঙ্গদান করবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, কলকাতায় অঙ্গদানের নজির প্রথম না হলেও ছয় বছরের শিশুর অঙ্গদানের ভাবনা রাজ্যে এই প্রথম। কাজেই বিষয়টি নিয়ে কথা-বার্তা শুরু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের একটি দল পৌঁছে গিয়েছে নিউটাউনের বেসরকারি হাসপাতালে। চলছে বৈঠক।
যেহেতু কোনও ছোট শিশুর শরীরেই সূর্যপ্রভর অঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে হবে তাই স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক করে অঙ্গ গ্রহীতার খোঁজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।