দেড় বছর ভিন রাজ্যে পরিচয় ভুলে থাকা ছেলে ফিরল ঘরে!
একটি সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিত্সা পরিষেবায় খুশি মোহনের পরিবার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বছর দেড়েক আগে ভিন রাজ্যের হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিল সোনারপুরের কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দারা । বৃহস্পতিবার ভোরেই পরিবারের সঙ্গে হরিদ্বারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন মোহন কুমার। বছর আঠেরোর মোহনের বাড়ি হরিদ্বারের মালেদারে ।
গত ১৩ই অক্টোবর সোনারপুর থানার নাটাগাছি এলাকাতে রাস্তার ধারে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় মোহনকে। এলাকার বাসিন্দাদের বিষয়টি নজরে আসে। ৷ তারা জানান পঞ্চায়েতে । কালিকাপুর ওয়ানের পঞ্চায়েত প্রধান মাধব মণ্ডল লোকজন নিয়ে তাকে উদ্ধার করে ৷ চিকিত্সার জন্য ভর্তি করে কালিকাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে । শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক ভারসাম্যও হারিয়েছিলেন মোহন। চিকিত্সক ও নার্সদের সেবার ফলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে সে।
একটি সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিত্সা পরিষেবায় খুশি মোহনের পরিবার। নিজের নাম মোহন কুমার বলতে পারলেও বাড়ি কোথায় তা বলতে পারছিল না সে। যদিও আশ্চর্যজনকভাবে একাধিক ফোন নম্বার বলতে পারছিল সে। সেইসব ফোন নম্বারের সূত্র ধরে ফোন করতে শুরু করেন চিকিত্সকরা। এরইমধ্যে একটি নম্বার গিয়ে লাগে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার এলাকায় কৄপলা নামের একটি স্কুলে। ওই স্কুলেই মোহনের বোন পড়াশুনো করে।
এই সূত্র ধরেই তার বাড়িতে খবর যায়। হোয়াটসঅ্যাপেও পাঠানো হয় ছবি। বাড়ির লোকজনও পাল্টা যোগাযোগ করেন । বাড়ি থেকে রওনা দেন মোহনের বাবা, মা, জামাইবাবু ও দাদা । মোহনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তাঁরা । পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক ধরে সে নিখোঁজ ছিল । বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করলেও পাওয়া যায়নি । থানায় নিখোঁজ ডায়েরির পাশাপাশি পেপারেও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। ছেলেকে পেয়ে খুশি পরিবারের লোকজন। তবে মন খারাপ কালিকাপুরের বাসিন্দাদের । এই কদিনে মোহন যেন তাদেরই একজন হয়ে গিয়েছিল। মোহনকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠাতে পেরে খুশি হাসপাতালের চিকিত্সক-নার্সরা।