তৃণমূলের পক্ষে ১৪ জন কাউন্সিলর, বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোটে মোতায়েন RAF, জলকামান

নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট। হাইকোর্টের নির্দেশে এবার আস্থা ভোট হবে জেলাশাসকের দফতরে। সকাল থেকেই তা ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। অশান্তি ও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা করা হয়েছে RAF, জলকামানের। জেলাশাসকের দফতরের বাইরের পুলিসের তরফে চলছে মাইকিং। তৃণমূল কাউন্সিলররা ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছে গিয়েছেন।

২২ আসনের পুরসভায় এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস৷ ১৩ জন কাউন্সিলর রয়েছেন তৃণমূলের৷ তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছেন এক কংগ্রেস কাউন্সিলরও৷ আস্থা ভোটে নেই একজন সিপিআইএম কাউন্সির।

গত ১৬ জুলাই মাসে বনগাঁয়ায় আস্থাভোট ঘিরে ব্যাপক অশান্তি হয়৷ তৃণমূল ও বিজেপি, দুই দলই বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছিল। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ১২ দিনের মধ্যে বনগাঁ পুরসভায় নতুন করে অনাস্থা আনতে হবে। 

ঘর ছেড়ে খোলা আকাশের নীচে গৌর দে লেন বস্তির ১৫৬ জন বাসিন্দা

এরপর গত ২৬ অগাস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি  সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর নতুন করে ভোটাভুটি করানোর নির্দেশ দেন। ১৬জুলাইয়ের ভোট খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশ নতুন করে ১২ দিনের মধ্যে ভোট করাতে হবে। এবার ভোট করাতে হবে জেলাশাসকের দফতরে।

এবার ভোটাভুটির ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ না মানা হলে স্বতোঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি পুলিস সুপারকে সব কাউন্সিলরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগের যা নোটিস দুই দল নিয়েছিল, তা সব বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বনগাঁর সমীকরণ কিছুটা বদলে গিয়েছে। আগে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন ১০ জন, বিজেপির ছিলেন ১২ জন। কিন্তু সম্প্রতি বিজেপির থেকে ৩ জন কাউন্সিলর তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। ফলে তৃণমূলের কাউন্সিলর বেড়ে দাঁড়িয়েছেন ১৩ জন, বিজেপির ৯ জন।২২ আসনের পুরসভায় স্বাভাবিকভাবেই এখন পাল্লাভারি তৃণমূলের।