পিকনিকের ছাড়পত্র নেই, সমস্যায় গজলডোবার নৌকাচালকরা
প্রত্যেক বছর গড়ে ৩০০০-এর মতো পিকপার্টি এসে ভিড় জমায় গজলডোবায়। এছা়ডাও নতুন বছরে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরাও ভিড় জমায় সেখানে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পিকনিক করার ছাড়পত্র নেই। তাই নতুন বছরের প্রথম দিনটা ভাল কাটল না গজলডোবার ব্যাবসায়ী ও নৌকাচালকদের। মাইক বাজিয়ে হৈহুল্লোর করলে পরিযায়ী পাখিদের অসুবিধা হবে বলে নতুন বছর তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন গজলডোবায় পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে, এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নৌকাচালকদের আগে থেকে কোনও খবর ছিল না বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।
প্রত্যেক বছর গড়ে ৩০০০-এর মতো পিকপার্টি এসে ভিড় জমায় গজলডোবায়। এছা়ডাও নতুন বছরে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরাও ভিড় জমায় সেখানে। ছোট ছোট ছাউনি করে সেখানে নানা ধরনের খাবার বিক্রি করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এছাড়া সেখানে আসা পর্যটকদের নৌকাবিহার করিয়েও পেট চালান কিছু মানুষ। তাই গোটা বছর ধরে এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- পিকনিক করতে গিয়ে দামোদরে তলিয়ে যাওয়া ৫ যুবকের দেহ উদ্ধার
স্থানীয় ব্যাবসায়ী বিতিন মণ্ডল বলেন, ''এভাবে পিকনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে আগে থেকে জানানো হয়নি। সরকারি এই নির্দেশিকার ফলে আমাদের ব্যবসায় সরাসরি আঘাত এসেছে। কীভাবে দিন গুজরান করব এখন ভেবেই পাচ্ছি না।'' তাঁদের দাবি, যে জায়গায় প্রতিবছর পিকনিক হয়, সেখানে পাখীর দেখা মেলে না। তাদের আরও দাবি, মাইকের ব্যবহার বন্ধ করে সহজেই পিকনিক করা যেত। সরকারি তরফে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
গজলডোবায় প্রায় ৮০ জন নৌকাচালক আছেন। বছরের এই সময়ই তাঁরা একটা বড় মাপের আয় করেন। তবে এবার সেই উপায় না থাকায় রীতিমতো হতাশ তাঁরা।