বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়
দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে বোমা বা বিস্ফোরক মজুত করা ছিল কিনা, তা থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সকালের ব্যস্ততা তখনও শুরু হয়নি। আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। শব্দের উত্স খুঁজতেই দেখা যায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের ছাদ উড়ে গিয়েছে। দেওয়াল ভেঙে পড়ে রয়েছে। আবারও তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরণ ঘটল। এবারও ঘটনাস্থল বীরভূম।
আরও পড়ুন: পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে বীরভূমের কাঁকরতলা বড়রা গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে প্রথমে ছুটে আসেন স্থানীয়রাই। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, আশেপাশের বাড়িগুলির জানলা-দরজাও কেঁপে ওঠে বলে স্থানীয়দের দাবি। কার্যালয়ের ছাদ উড়ে গিয়েছে। গোটা কার্যালয়টিই প্রায় ভেঙে পড়েছে। কার্যালয়ের দরজা ভেঙে ছিটকে পড়েছে অনেক দূর। তবে সম্ভবত বিস্ফোরণের সময় কার্যালয়ের ভিতরে কেউ ছিলেন না। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কেউ হতাহত হননি।
আরও পড়ুন: ভারত বনধে কোথায় ট্রেন বন্ধ, রাস্তায় কোথায় বিক্ষোভ? জানুন এখনকার পরিস্থিতি
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কাঁকরতলা থানার পুলিস। দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে বোমা বা বিস্ফোরক মজুত করা ছিল কিনা, তা থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণও রয়েছে কিনা, তাও দেখা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, '' ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এসে বাইরে থেকে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।'' এই ঘটনায় বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, কার্যালয়ে মজুত বোমা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
আরও পড়ুন: এ কী হল কেষ্টর! সকলের সামনে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন অনুব্রত মণ্ডল
প্রসঙ্গত, গত মাসেই ২৮ তারিখ বিস্ফোরণে উড়ে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের তৃণমূল কার্যালয়। সেদিনের ঘটনায় মৃত্যু হয় ২ তৃণমূল কর্মীর। আহত হন আরও তিন জন। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই কার্যালয়ে বোমা মজুত করা হচ্ছিল। মজুত বোমাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। যদিও এই দাবির সত্যতা প্রমাণ হয়নি।