নমো নমো করে কোচবিহারে ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’-এর সভা সারল বিজেপি

সকাল থেকে শুক্রবার কোচবিহারের সভা  নিয়ে রীতিমতো নাটক চলল। 

Updated By: Dec 7, 2018, 04:10 PM IST
নমো নমো করে কোচবিহারে ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’-এর সভা সারল বিজেপি

নিজস্ব প্রতিবেদন: সভা হবে কি না, তা নিয়ে একটা সময়ে সন্ধিহান ছিলেন বিজেপি নেতত্বই। শুক্রবার সকাল থেকেই ছিল চাপান উতোর।  অমিত শাহ আসছেন না, একথা যখন একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেল, তখন কোচবিহারের সভাস্থল যেন ভাঙা হাটের চেহারা নেয়!  মঞ্চসজ্জা শিল্পীদের সভাস্থল থেকে চেয়ার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যও ধরা পড়ে ক্যামেরায়। একদিকে যখন এই দৃশ্য, তখন কোচবিহারের হোটেলের রুদ্ধদ্বার  বৈঠকে টানটান উত্তেজনা।  দীর্ঘ বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়, অমিত শাহ ছাড়াই কোচবিহারের সভা হবে। সভা হল বটে, তবে তা কার্যত নমো নমো করে। ছিল না কোনও চমক, ছিলেন না কোনও শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন কোচবিহারে হল কেবল ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’এর বৈঠক।  

সকাল থেকে শুক্রবার কোচবিহারের সভা  নিয়ে রীতিমতো নাটক চলল। সকালের শুরু থেকেই জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের বাস আটকানোর অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। কোথাও থানার সামনে বিক্ষোভ, কোথায় পুলিসকে ‘মার’- সভাস্থলে আসতে অনেক ‘খেসারত’ পোহাতে হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।  অমিত শাহ আসছেন না, হয়তো ততক্ষণেও জানতেন না দূরদূরান্ত, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে রওনা দেওয়া বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা সভাস্থলে পৌঁছন, কিন্তু তখনও বৈঠক হবে কি না, তার উত্তর অধরা। এরপর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, অমিত শাহ ছাড়াও সভা হবে। একদিকে যখন এই চিত্র, তখন  হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রথযাত্রার শুনানি চলছে।

সভায় ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, “ট্রেন বন্ধ, কর্মীদের বাস আটকাচ্ছে। আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছি। রথ নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূলই।” মঞ্চে ওঠেন দিলীপ ঘোষ। কথা শুরু করেন সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে। তিনি বলেই ফেললেন, “আমাদের সভায় আসার ইচ্ছা ছিল না। যেহেতু সবাইকে আহ্বান করেছিলাম, তাই সভায় এসেছি। আমরা কেউই আজ এখানে ভাষণ দিতে এখানে আসিনি। এই মামলা আদালতে বিচারাধীন। আমরা আদালতকে সম্মান করি। তাই এখনই বিশেষ কিছু বলব না।” তিনি বলেন, “আপনারা অনেক দূর থেকে এসেছেন। আপনাদের ধন্যবাদ জানাতেই আজ আমি মঞ্চে। গণতন্ত্র আজ বিপন্ন, তাই আমরা রথযাত্রার আহ্বান করেছি। আদালত অনুমতি দিলেই রথযাত্রা বার করব আমরা। ” বিজেপির কর্মীদের সভায় আসার ক্ষেত্রে পুলিসি-বাধার অভিযোগ তোলেন তিনিও।  শেষে বলেন, “ওপার বাংলা থেকে যে সব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেব আমরা। আর যে সব মুসলিম অনুপ্রবেশকারী ঢুকে অস্ত্র বানাচ্ছে, তাদের এনআরসি-র মাধ্যমে তাড়িয়ে ছাড়ব।”    অমিত ছাড়া বিজেপির সভা যে নমো নমো-ই হল, তা বলা বাহুল্য।

.