Kalyani AIIMS Recruitment: বাবা-মেয়ের বয়ানে বিস্তর ফারাক, সিআইডি জেরায় পাল্টি খেলেন নীলাদ্রি!
Kalyani AIIMS Recruitment: চাকরিরতে নিয়োগের পরীক্ষায় ৫০০০ পরীক্ষার্থী ছিলেন। মেধাতালিকায় বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানার নাম ছিল ২০৫৯-এ। নম্বর পেয়েছিলেন মাত্র ২০!

পিয়ালি মিত্র: মিলল না বাবা-মেয়ের বয়ান। মেয়ে যা বলেছিলেন, বাবা বললেন তার পুরো উল্টো কথা। মেয়ে দাবি করেছিলেন, বাবা তাঁকে নিয়ে কোনওদিন-ই নাকি কল্যাণী এইমসে যাননি! কল্যাণী এইমসে গিয়ে তাঁর চাকরির কথা বলেননি! তাঁর নাম সুপারিশের কথা অস্বীকার করেছিলেন মৈত্রী দানা। কিন্তু সূত্রের খবর, ভবানী ভবনে সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে এর উল্টোটাই বলেছেন বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা। সূত্রের খবর, চাকরিতে নিয়োগের আগে মেয়ে মৈত্রী দানাকে নিয়ে কল্যাণী এইমসে গিয়েছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে নিয়েছেন নীলাদ্রি শেখর দানা।
কল্যাণী AIIMS-এ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন নীলাদ্রি শেখর দানাকে তলব করে সিআইডি। কিন্তু কেন নিলাদ্রী শেখর দানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি? সূত্রের খবর, কল্যাণী এইমসে কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থায় চাকরির জন্য যে নিয়োগের পরীক্ষা হয়, তাতে ৫০০০ পরীক্ষার্থী ছিলেন। তারমধ্যে মেধাতালিকায় ২০০০ জনের পরে নাম ছিল বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানার। ওই পরীক্ষায় বিধায়কন্যা অনেক পিছনের সারিতে নম্বর পেয়েছিলেন। তাঁর নাম ছিল ২০৫৯-এ। আর নম্বর পেয়েছিলেন ২০! কিন্তু তিনি চাকরি পেয়ে যান! এত কম নম্বর পেয়ে কীভাবে চাকরি পেলেন বিধায়ক কন্যা? তার আগে থাকা প্রার্থীরা ডাক না পেলেও, এত পিছনে তালিকায় নাম থাকা মৈত্রেয়ী দানা কীভাবে ইন্টারভিউতে ডাক পান? সেই বিষয়ে জানতেই নীলাদ্রি শেখর দানাকে তলব করে সিআইডি।
এর আগে বাঁকুড়ার কানকাটার বাড়িতে গিয়ে দু'দফায় নিলাদ্রী শেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। তখন মেয়ে মৈত্রী জিজ্ঞাসাবাদের সময় দাবি করেন যে, বাবা কোনদিনও কল্যাণী এইমসে গিয়ে তাঁর চাকরির জন্য কথা বলেননি। কিন্তু কল্যাণী এইমসের তরফে জানা যায় যে, বিধায়ক তাঁর মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন। এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁর চাকরির জন্য। কিন্তু চাকরিটা দেয় বেসরকারি নিয়োগকারী সংস্থা। ওই বেসরকারি সংস্থা জানায়, কল্যাণী এইমসের তরফে একটা সুপারিশ পত্র পাঠানো হয়েছিল। সেইজন্যই এই চাকরিগুলো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল কল্যাণী এইমসের নার্সিং কলেজে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের পদে চাকরি পান বিধায়কের মেয়ে মৈত্রী। কল্যাণী এইমস নিয়োগ দুর্নীতি এই মামলায় ৮ জনের নাম রয়েছে। নাম রয়েছে বিজেপি দুই বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা ও বঙ্কিম ঘোষের। বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূকেও অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নাম রয়েছে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও সুভাষ সরকারেও।