'ঘর ছাড়া' করার অভিযোগ, দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই FIR করলেন বিজেপি নেত্রী
Zee ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সঙ্গীতাদেবী জানান, 'বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির দফতর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন অঞ্জনবাবু। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মদত ছিল তাঁর পিছনে। এমনকী অঞ্জনবাবুর কাছ থেকে সুব্রতবাবু কাটমানি নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গে সবে সাফল্যের স্বাদ পেয়েছে বিজেপি। আর তাতেই নেমেছে যোগদানের ঢল। ফলে তৃণমূলের, 'নব্য - আদি রোগ' ধীরে ধীরে গ্রাস করছে গেরুয়া শিবিরকেও। সঙ্গে যোগ হয়েছে RSS - বিজেপি দ্বন্দ। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে বিজেপি কর্মীরা। এবার তেমনই অভিযোগ তুললেন বর্ধমানের RSS নেত্রী সঙ্গীতা চক্রবর্তী। অভিযোগ, রাতারাতি তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দফতর দখল করে নিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা অঞ্জন মুখোপাধ্যায়। সেজন্য রীতিমতো ফেসবুক লাইভ করে জেলা বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সঙ্গীতাদেবী। সেখানে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে এক ভাইরাল ভিডিয়োয় এই সঙ্গীতা চক্রবর্তীকেই গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দিতে নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন সেই সঙ্গীতাদেবীকে ফেসবুক লাইভে বলতে শোনা যায়, বর্ধমান শহরের বীরহাটায় আরএসপি-র দফতরের একটি ঘরে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দফতর চালান তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে সেটি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন অঞ্জনবাবু। বৃহস্পতিবার রাতে ঘরটিকে বাইরে থেকে রং করে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয় তার সামনে। ভিতরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যাবতীয় নথিপত্র ও আসবাব ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় রাস্তায়। এর পরই শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ফেসবুক লাইভে অভিযোগ জানান তিনি।
ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, 'দিলীপ ঘোষকে পিছন থেকে ছুরি মারছে বিজেপিরই একাংশ। সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বিজেপি কর্মীরাই। নেতৃত্বের রাশ হাতে পেতেই একাজ করা হচ্ছে।' তবে সঙ্গীতাদেবী জানিয়েছেন, নেতৃত্বে আসার কোনও সাধ নেই তাঁর।
Zee ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সঙ্গীতাদেবী জানান, 'বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির দফতর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন অঞ্জনবাবু। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মদতে ছিল তাঁর পিছনে। এমনকী অঞ্জনবাবুর কাছ থেকে সুব্রতবাবু কাটমানি নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।'
দৃষ্টিভঙ্গি বদলে সংগঠন মজবুতের চেষ্টা, পিকে-র পরামর্শেই কি তৃণমূলের 'মানসিকতায় পরিবর্তন'?
লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে উঠেছেন সুব্রতবাবু। দিলীপ ঘোষরা দিল্লি যাওয়ায় গোটা রাজ্য বিজেপির ভার পড়েছে তাঁর কাঁধেই। এহেন নেতার বিরুদ্ধে খুল্লামখুল্লা অভিযোগ বিজেপির অস্বস্তি বাড়াবে বই কি।
বলে রাখি, লোকসভা নির্বাচনের আগে ভাইরাল হয়েছিল তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের একটি ভিডিয়ো। তাতে এক ব্যক্তিকে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দিতে নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি। সঙ্গীতা চক্রবর্তী নামে যে মহিলার বিরুদ্ধে তিনি সেদিন এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনিই আজ প্রশ্ন তুলছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।