সরকারি অফিসে বসে আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের লোকজন, অভিযোগ BJP-র

এদিন রাহুলবাবু বলেন, 'মোটা টাকা দিয়ে প্রশান্ত কিশোরকে এনেছে তৃণমূল। তাতে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর দল যে ভাবে প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করছে তা মেনে নেওয়া যায় না।

Updated By: Aug 11, 2019, 03:11 PM IST
সরকারি অফিসে বসে আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের লোকজন, অভিযোগ BJP-র

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করছেন রাজনৈতিক কৌশলি প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীরা। আইএএস-আইপিএস আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছেন তাঁরা। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। রবিবার দুর্গাপুরে বিজেপির চিন্তন বৈঠকের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। 

 

এদিন রাহুলবাবু বলেন, 'মোটা টাকা দিয়ে প্রশান্ত কিশোরকে এনেছে তৃণমূল। তাতে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর দল যে ভাবে প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করছে তা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি অফিসে বসে আইএএস-আইপিএস আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছে তারা। সরকারি আধিকারিকদের যে ভাবে দাসানুদাসে পরিণত করছে তা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারের সম্পূর্ণ দলীয়করণের যে চেষ্টা করছে তৃণমূল তার বিরোধিতা করবে বিজেপি।' 

ঝাঁঝ বাড়িয়ে রাহুলবাবু বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেন। সরকার আর পার্টিকে মিশিয়ে দিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক দলের নিয়োগ করা এজেন্সি সরকারের এজেন্সির মতো কাজ করতে পারে না। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার নির্দেশ না মানার জন্য কয়েকজন সরকারি আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে।'

কংগ্রেসের থেকে গান্ধী পরিবারের অবস্থা আরও খারাপ, কটাক্ষ দিলীপের

অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, 'অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রশান্ত কিশোর এক সময় বিজেপির হয়ে কাজ করতেন। এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করায় আক্রমণ করছে বিজেপিই। অভিযোগে সমর্থনে কোনও প্রমাণ নেই কারও কাছে।'

.