সব অভিযোগই মেনে নিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও বিভাগীয় প্রধান
চাপের মুখে কার্যত সব অভিযোগই মেনে নিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও বিভাগীয় প্রধান। অভিযুক্তের মেয়াদ বাড়ানা থেকে ক্লাসে গিয়ে ছাত্রীদের কার্যত ধমকের কথা কবুল করেছেন দুজনেই।
ওয়েব ডেস্ক: চাপের মুখে কার্যত সব অভিযোগই মেনে নিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও বিভাগীয় প্রধান। অভিযুক্তের মেয়াদ বাড়ানা থেকে ক্লাসে গিয়ে ছাত্রীদের কার্যত ধমকের কথা কবুল করেছেন দুজনেই।
অবাক লাগলেও এমনটাই করেছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত। অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল কমপ্ল্যান্টস কমিটি বা ICCতে যান পড়ুয়ারা। কী এই ICC? তার এক্তিয়ারই বা কতটা? কোন আশঙ্কায় রেগে গেলেন উপাচার্য। বিশাখা গাইডলাইন মেনে যৌন হেনস্থা রুখতে ২০১৬-র জুলাইতে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ICC তৈরির নির্দেশ দেয় UGC। দোষীদের শাস্তি দিতে পারে এই কমিটি। কোনও শিক্ষক বা কর্মী যৌন হেনস্থায় দোষী প্রমাণিত হলে সার্ভিস রুল অনুসারে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। জরিমানাও দিতে হতে পারে তাঁকে।
আরও পড়ুন জিওতে রিচার্জ করেছেন, কিন্তু মেসেজ আসেনি? কীভাবে বুঝবেন আপনার রিচার্জটি আদৌ হয়েছে কীনা?
পদক্ষেপ দূরে থাক, এখানে তো অভিযুক্তকে পুনর্বহাল করা হয়ছে। আর চাপের মুখে সেটা মেনে নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। এটাই শেষ নয়। প্রথমে নিজের দাবিতে অনড় থাকলেও পরে ক্লাসে গিয়ে ধমকের কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। শুধু কি উপাচার্য, সমান অভিযোগ তো বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধেও। উপাচার্য যখন ক্লাসে ঢুকে ধমকানি দেন, তখন তিনিও তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। মুখে কুলুপ ।
চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত সবটা মেনে নিয়েছেন HOD বিপ্লব লোহ চৌধুরীও। নিজের কাজ-কর্মের সাফাই দিতে গিয়ে শিক্ষকের সম্মানের কথা বলেছেন উপাচার্য। কিন্তু কার সম্মান বাঁচাতে চাইছেন তাঁরা? একাজে কি আদৌ বাড়ছে বিশ্বভারতীর গৌরব।