মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে রাজি, প্রকাশ্যে এসে বললেন বিমল গুরুং
পশ্চিমবঙ্গ কিংবা রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই নয়। আমরা শুধু গোর্খাদের সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষায় আন্দোলন চালাচ্ছি।‘
ওয়েব ডেস্ক: পাহাড়ে স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন বিমল গুরুং। বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাত্কারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে গুরুং বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সূত্রে পৌঁছনো সম্ভব।'
আরও পড়ুন: বাইক মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত কাঁথি, পুলিস-বিজেপি ধস্তাধস্তি
বিমল গুরুং আরও বলেছেন, ‘ আমাদের সংগঠন গোর্খাদের পরিচিতি-অধিকার রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ কিংবা রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই নয়। আমরা শুধু গোর্খাদের সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষায় আন্দোলন চালাচ্ছি।‘ তাঁর দাবি, 'সংবিধানের মধ্যে থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি জানাচ্ছি আমরা। আমি বিচ্ছিন্নতাবাদী নই, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।'
তবে এদিনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সুর শোনা যায় বিমল গুরুঙের গলায়। তিনি বলেন, ‘সরকার একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের একতরফা মনোভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এই আন্দোলনের জন্ম।‘
প্রসঙ্গত, আত্মগোপনে থাকাকালীনই ২০১৭-র অক্টোবরে অডিও বার্তায় ফের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিমল গুরুং। সে সময় তিনি দাবি করেছিলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’ তবে তিনি যে কোনও অবস্থাতেই রাজ্য সরকারের সামনে মাথা নোয়াবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন গুরুং।
আরও পড়ুন: খুচরো নিতে দেরি হবে, শুনেই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে ফেলে মার গ্রাহকদের
কিন্তু এই অডিও বার্তার তিন মাসের মধ্যেই পুরো অন্য সুর শোনা গেল বিমল গুরুংয়ের গলায়। তবে কি তিনি চাপে রয়েছেন? সেই প্রশ্নই উঠছে।
২০১৭-র জুন মাস থেকে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে ফের জ্বলে ওঠে দার্জিলিং। গুরুংসমর্থকদের গুলিতে পুলিস কর্মী অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর ঘটনায় আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেই থেকেই অজ্ঞাতবাসে গুরুং।
এরপ্রেক্ষিতে গৌতম দেব বললেন, ' বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে বিমল গুরুংকে।'