ভাঙড়ে স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে আরও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রাজ্যের
আপাতত শান্ত ভাঙড়। পাওয়ার গ্রিডের জট কাটাতে উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবারের অশান্তির পর দিন আপাতত শান্ত ভাঙড়। তবে আতঙ্ক কাটেনি। এর মধ্যেই পাওয়ার গ্রিডের জটিলতা কাটাতে উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু জমিদাতাদের নয়, যাদের জমির ওপর দিয়ে তার যাবে তাদেরও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। তবে ২৪ ঘণ্টা কাটার পর আপাতত শান্ত। শুক্রবার সকালে অনন্তপুর মোড় থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমা। রাস্তায় পড়ে ছিল কার্তুজের তাজা খোল। দোকান-বাজার খুললেও আতঙ্ক কাটেনি। পাওয়ার গ্রিডের বিরোধিতায় এদিনও ভাঙড়ে মিছিল করে জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটি। নতুন করে যাতে অশান্তি আর না বাধে, সে কারণে ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয় পুলিস পিকেট। বকডোবা থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত একটি মিছিল করে জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটি।
আরও পড়ুন- বেপরোয়া বোমাবাজি, পুড়ল একের পর এক গাড়ি! ফের উত্তপ্ত ভাঙড়
এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, কাইজার আমেদকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়ে কড়া ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের জটিলতা কাটাতেও উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। জানান, জমির ওপর দিয়ে বিদ্যুতের তার গেলে মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি ভাঙড়ের উন্নয়নে নেতাদের একযোগে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত এক বছর ধরে পাওয়ার গ্রিড আন্দোলন ঘিরে অশান্ত ভাঙড়। স্থানীয় মানুষ না চাইলে পাওয়ার গ্রিড হবে না, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার চায় পাওয়ার গ্রিড হোক। কারণ, খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে পাওয়ার গ্রিড চান স্থানীয়রাই। কিন্তু বিরোধী ও বহিরাগতরা অকারণে অশান্তি পাকাচ্ছে।
পাওয়ার গ্রিড হলে এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটিতে বিদ্যুতের তার নিয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে যে জমির ওপর দিয়ে এই তার যাবে, সেই জমির মালিককে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য। নবান্ন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়ের উন্নয়নে আরও জোর দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। উন্নয়নের প্রশ্নে ভাঙড়ের নেতাদের একযোগে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব অবশ্য মানতে নারাজ জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটি। পাওয়ার গ্রিড না হওয়ার দাবিতেই অনড় তাঁরা।