এলাকার 'সুন্দরী' সুতপার সঙ্গে ৫ বছরের সম্পর্ক সুশান্তর! পরিবারের 'কথা মানতে' গিয়েই কি খুন বহরমপুরের কলেজছাত্রী?
সুশান্ত একসময় সুতপার বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত তাঁর পিসির বাড়িতে থাকত। সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বহরমপুরের কলেজ ছাত্রীর নৃশংস হত্যাকান্ডের নেপথ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক। পুলিস হত্যাকান্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক মালদা থানার বলরামপুরের বাসিন্দা। বাবা নিখিল চৌধুরী পেশায় পুলিসের কনস্টেবল। নিউ জলপাইগুড়িতে কর্মরত। আর ধৃত প্রেমিক সুশান্ত কম্পিউটার নিয়ে বিহারের পাটনাতে পড়াশোনা করত। অন্যদিকে, নিহত কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর পরিবার আগে মালদার বৈষ্ণবনগর থানার রাজনগর গ্রামে বসবাস করত। তবে বছর ১২ আগে তাঁরা মালদার ইংরেজবাজারে চলে আসেন। ইংরেজবাজার পুর এলাকার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেন।
ওই এলাকার 'সুন্দরী'দের মধ্যে অন্যতম ছিল সুতপা। বছর পাঁচেক ধরে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। কিন্তু গত এক বছর ধরে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরে। সুশান্তকে এড়িয়ে যেতে থাকে সুতপা। শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়েন। মনোমালিন্যের জেরে এরপর ৮ মাস আগে একবার সুশান্ত বেশ কয়েকজন যুবককে সঙ্গে নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় সুতপার বাড়িতে হামলাও করে বলে অভিযোগ।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, পড়াশোনার জন্য সুশান্ত একসময় সুতপার বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত তাঁর পিসির বাড়িতে থাকত। সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত। মেয়ের এই সম্পর্কের কথা সুতপার পরিবার জেনে গিয়েছিল। কিন্তু তারা তা মেনে নেয়নি। তারপরই পরিবারের অমতে গিয়ে সম্পর্ক বজায় রাখতে অস্বীকার করে সুতাপা। সেই আক্রোশ থেকেই সুতপাকে সুশান্ত খুন করেছে বলে মনে করছে পুলিস।
আরও পড়ুন, দম্পতির বিবাদে ঢুকতে নারাজ বাড়িমালিক, স্ত্রীর হাতে 'করুণ পরিণতি' স্বামীর