হেভিওয়েট মন্ত্রী এখন স্রেফ ‘তৃণমূলের সদস্য’
রবীন্দ্রনাথ বাবু হুগলি জেলা সভাপতির কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বয়সজনিত কারণেই তিনি এই বাড়তি দায়িত্ব নিতে অপারক...
নিজস্ব প্রতিবেদন: গোষ্ঠীকোন্দলে এবার ‘গর্দান’ গেল সিঙ্গুরের ‘তাজা নেতা’ বেচারাম মান্নার। মাস্টার মশাইয়ের বিরুদ্ধে খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে শেষে কি না ব্লক সভাপতির পদটাও খোয়াতে হল সিঙ্গুরে তৃণমূলের উত্থানের অন্যতম কান্ডারি এই দাপুটে নেতাকে। উল্টে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকেই ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দিল দল। যদিও সেই দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছেন রবীন্দ্রনাথ বাবু।
আরও পড়ুন- পুজোর প্যান্ডেলের ভিতরেই উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
সূত্রের খবর, বেচারামের জায়গায় যখন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের নাম প্রস্তাব করা হয় তখন মহাদেব দাসকে ব্লক সভাপতি করার আর্জি জানান মাস্টারমশাই। মহাদেব দাস দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বাম আমল থেকেই সিঙ্গুরে মহাদেব দাসের একটা জনপ্রিয়তা রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং তৃণমূলের একাংশ চাইছে মহাদেব দাসকেই সেই জায়গায় অধিষ্ঠিত করুক দল। যদিও রবীন্দ্রনাথ বাবুর প্রস্তাবিত নামে এখনও কোনও শিলমোহর বসায়নি হুগলির দায়িত্বে থাকা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। দলীয় সূত্রের খবর, অরূপ বিশ্বাস, প্রবীর ঘোষালরা সিঙ্গুরের ব্লক সভাপতি নির্বাচনের দায়িত্বও নিজেদের কাঁধে নেননি। বাকি ক্ষেত্রেও যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং নিয়ে থাকেন এই বিষয়েও দলনেত্রীই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- পিলার ভেঙে গিয়েছে, নাগরাকাটায় নদীর ওপর ঝুলছে সেতু
সিঙ্গুরে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও বেচারাম মান্নার কোন্দল আজকের নয়। তৃণমূল সরকারে আসার পর থেকেই দুই বিধায়কের অনুগামীরা একাধিকবার সংঘর্ষ জড়িয়েছেন। দল থেকে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি এবং মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার কথা বললেও, শোনেননি বেচারাম মান্না। যার খেসারতও দিতে হল তাঁকে। মন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন আগেই, এবার খোয়াতে হল দলের ব্লক সভাপতির পদও। অন্যদিকে, রবীন্দ্রনাথ বাবু হুগলি জেলা সভাপতির কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বয়সজনিত কারণেই তিনি এই বাড়তি দায়িত্ব নিতে অপারক।