Barrackpore: হোলি খেলার নামে এলাকায় গালাগালি, প্রতিবাদ করায় কারগিল জয়ী সেনাকে ঘরে ঢুকে পেটাল দুষ্কৃতীরা
Barrackpore: ওই ঘটনা নিয়ে সিউলি পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ ঘোষ বলেন, এটা ওদের পারিবারিক ঝামেলা। এখানে তৃণমূল কোন ভাবে জড়িত নয় বা আমি কাউকে এ ধরনের কাজে প্রশ্রয় দিই না
বরুণ সেনগুপ্ত: হোলি খেলার সময়ে মদ খেয়ে এলাকায় গালাগালি। তারই প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এসেছিলেন কারগিল জয়ী প্রাক্তন সেনানি। এরপরই ওই প্রাক্তন সেনানির ঘরে ঢুকে তাঁকে ও তাঁর দুই ছেলেকে বেধড়াক পেটাল কয়েকজন মত্ত যুবক। এমনই অভিযোগ করেছেন ওই প্রাক্তন সেনা।
আরও পড়ুন-মধুচক্রের বখরা নিয়ে বিতর্ক, টাকা চাইতেই খুন ডালিয়া
ব্যারাকপুরের সিউলি পঞ্চায়েতের কলেজপাড়ার বাসিন্দা জন্মেজয় মাহাতো। একসময় কারগিল যুদ্ধ অংশ নিয়েছিলেন। হোলির দিন তাদের পাড়ার এক মত্ত যুবক পাড়ায় ঢুকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালি করছিল। তারই প্রতিবাদ করেন জন্মেজয় মাহাতোর ছেলে জগদীশ মাহাতো ও সমীরণ মাহাতো। তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায়।
এদিকে, ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই দলবল নিয়ে জন্মঞ্জয় মাহাতোর বাড়িতে চড়াও হয় একদল যুবক। অভিযোগ, জন্মেজয়ের ঘরে ঢুকে ফের শুরু হয় গালাগালি। প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেন জন্মেজয়। এতই রণংদোহী মূর্তি ধারন করে মত্ত যুবকরা। শুরু হয় মারধর। জন্মেজয়-সহ তার দুই ছেলে বেধড়ক মারধর করে যুবকরা। মারের চোটে কলার বোন ভেঙে যায় জগদীশের, পা ভাঙে তার ভাই সমীরণের। ছেলেদের বাঁচাতে এসে বেধড়ক মার খান জন্মেজয়বাবু। ঘুঁসি এসে লাগে তার চোখে। যাওয়ার সময়ে দুষ্কৃতীরা শাসিয়ে যায়, যেখানে পার যাও। কিচ্ছু করতে পারবে না।
ওই ঘটনার পর আহত জন্মেজয়বাবু ও তার দুই ছেলের চিকিত্সা হয় এলাকার একা বেসরকারি নার্সিং হোমে। গোটা ঘঠনা জানিয়ে মোহনপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন জন্মেজয়বাবু। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
অন্যদিকে, ওই ঘটনা নিয়ে সিউলি পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ ঘোষ বলেন, এটা ওদের পারিবারিক ঝামেলা। এখানে তৃণমূল কোন ভাবে জড়িত নয় বা আমি কাউকে এ ধরনের কাজে প্রশ্রয় দিই না।