'মিষ্টি খাওয়ার টাকা' নিয়ে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট, অবশেষে ফেরতের নির্দেশ শিক্ষা দফতরের

 টাকা আদায়ের ঘটনায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার ঘোষের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে আজ পথে নামে তৃনমূল ছাত্র পরিষদ

Updated By: Jul 26, 2021, 10:02 PM IST
'মিষ্টি খাওয়ার টাকা' নিয়ে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট, অবশেষে ফেরতের নির্দেশ শিক্ষা দফতরের

নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে মিষ্টি খাওয়ার নামে নেওয়া টাকা ফেরতের নির্দেশ দিল জেলা শিক্ষা দফতর। আজ ঘটনার তদন্তে বাঁকুড়া মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলে গিয়ে এই নির্দেশ দেন বাঁকুড়ার জেলা স্কুল পরিদর্শক।

এদিকে এই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি তুলে এদিন বাঁকুড়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃনমূল ছাত্র পরিষদ। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়ে পোস্টারও।

আরও পড়ুন- নজরে জৈন হাওয়ালাকাণ্ড! দিল্লিতে পা দিয়েই সাংবাদিক বিনীত নারায়ণের সঙ্গে বৈঠক মমতার  

বাঁকুড়া মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলে চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল ২০৪ জন। হাতে গোনা কয়েকজন বাদ দিলে অধিকাংশ পড়ুয়াই পাশ করেছে। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের মার্কশিটের সঙ্গেই স্কুল লিভিং শংসাপত্র দিয়ে দেওয়ার কথা। এই শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র ছাত্রী পিছু পঞ্চাশ টাকা করে দাবি করে। অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী ওই টাকা দিয়ে শংসাপত্র নিলেও  দু-একজন ওই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের স্কুল লিভিং শংসাপত্র দেওয়া হবে না বলে জানানো হয় স্কুলের তরফে। অন্তত এমনটাই অভিযোগ পড়ুয়াদের। এরপরই ছাত্র ছাত্রীদের একাংশ বিক্ষোভ শুরু করে।

শনিবার এই খবর সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরার পরই নড়েচড়ে বসে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর। আজ তড়িঘড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ঘটনার তদন্তে স্কুলে যায়। কার নির্দেশে পড়ুয়াদের কাছ থেকে এই টাকা নেওয়া হচ্ছিল?  কতজন পড়ুয়া এই টাকা দিয়েছিল?  কেনই বা এই টাকা নেওয়া হচ্ছিল সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন স্কুল পরিদর্শক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পড়ুয়াদের দেওয়া টাকা ফেরতের নির্দেশ দেন স্কুল পরিদর্শক।

আরও পড়ুন-দিল্লিতে আচমকাই মুকুলের বাড়িতে সুনীল মণ্ডল, জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক বলেন পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে তা জানতেন না তিনি।  স্কুলের অন্যান্য সহ শিক্ষকরাও এ বিষয়ে অন্ধকারে ছিলেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের দাবি, প্রধান শিক্ষকের অনুমতিতেই পড়ুয়াদের কাছ থেকে এই টাকা আদায় করছিল স্কুলের কর্মীরা । তাই এর সম্পূর্ণ দায় একক ভাবে প্রধান শিক্ষকের।

এদিকে পড়ুয়াদের কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে টাকা আদায়ের ঘটনায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার ঘোষের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে আজ পথে নামে তৃনমূল ছাত্র পরিষদ। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার আর্জি জানিয়ে আজ জেলা স্কুল পরির্দশের দফতরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল  ছাত্র সংগঠন। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে পোস্টারিংও করা হয়। 

(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.