Malbazar: ভোটের ঠিক আগেই খুলে গেল বন্ধ চা-বাগান! হাসি ফুটল দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের মুখে...
Bamandanga Tea Garden Reopens: গত ৭ মাস ধরে বাগান বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের পরিস্থিতি খুবই জটিল আকার ধারণ করছে। তবে সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় খুশি তাঁরা। খুশি বাগান-কর্তৃপক্ষও।
অরূপ বসাক: ভোটের আগে খুলে গেল বন্ধ ডুয়ার্সের বামনডাঙ্গা-টন্ডু চা-বাগান। আজ, সোমবার থেকে ফের বাগানটি স্বাভাবিক কর্মমুখবর হয়ে উঠল। এদিন সেখানে তিন পরিচালক ঢুকে গিয়েছেন। গতকাল, রবিবার বাগান খোলা নিয়ে শ্রমিক প্রতিনিধিদের একাংশের সঙ্গে মালিকপক্ষের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই সব কিছু আলোচনা করে ঠিকঠাক হয়।
কী কী শর্ত নিয়ে আলোচনা হল?
ওই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা মোতাবেক ঠিক হয়েছে, বাগান খোলার পরে বুধবারের মধ্যে বকেয়া থাকা দুটি পাক্ষিক মজুরির একটি দিয়ে দেওয়া হবে। এরপর ১৫ দিন পরে চালু কাজের মজুরির সঙ্গে মিলবে বকেয়া বোনাসের ৯ শতাংশও। বাকি এক পাক্ষিক সপ্তাহের মজুরিও এরপর দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে। বামনডাঙ্গা-টন্ডুর নয়া কর্ণধার ঋত্বিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আলোচনাসাপেক্ষেই সব কিছু ঠিক হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাগান চালাতে শ্রমিকদের কাছ থেকে সবরকম সহযোগিতা পাবেন বলেই আশা করছেন তিনি।
গত বছর পুজোর ঠিক আগে, ৩ অক্টোবর রাতে সেখানে লক আউটের নোটিস জারি করে বেপাত্তা হয়ে যান তৎকালীন পরিচালকরা। সঙ্গে সঙ্গে বিপাকে পড়েন ১১৭৪ জন শ্রমিক। একই মালিকানাধীন সামসিং-য়েও তালা ঝোলে ১৬ অক্টোবর নাগাদ। এমন পরিস্থিতিতে সেসময় শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে আলাদা করে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে দুটি বৈঠক হয়। জট খোলার জন্য জলপাইগুড়িতে ডেপুটি লেবার কমিশনারের দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও ডাকা হয়। সেখানে মালিকদের কেউ হাজির হননি। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও মালিকদের প্রতিনিধিকে তলব করা হয়। ১৬ অক্টোবর একই মালিকানাধীন দুই বাগানের পরিচালকরা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, আর্থিক সংকটের কারণে আপাতত বাগান চালানো সম্ভব হচ্ছে না তাঁদের পক্ষে। তবে তাঁরা না ফেরা পর্যন্ত যদি শ্রমিকরা কাঁচা পাতা তুলে বিক্রি করেন, তাতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।
এরপর নভেম্বরে বর্তমান মালিকপক্ষই বামনডাঙ্গা-টন্ডু খুলতে এগিয়ে আসেন, তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এজন্য নানা ধরনের জটিলতাকে দায়ী করেন তাঁরা। তবে সামসিং বাগানটি ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁদের তত্ত্বাবধানেই খোলা সম্ভব হয়। সেটিতে এখন কাজ চলছে।
এদিকে গত ৭ মাস ধরে বাগান বন্ধ হয়ে থাকায় শ্রমিকদের পরিস্থিতি বর্তমানে খুবই জটিল আকার ধারণ করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি প্রেম ছেত্রী বলেন, এদিন শ্রমিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মালিকপক্ষের সঙ্গে বাগান খোলা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। সোমবার থেকে ফের বামনডাঙা বাগান খুলে গেল। শ্রমিকরা যে অত্যন্ত সংকটে ছিলেন তা নিয়ে কোনও সংশয়ই নেই। আইন মেনে বাগান চলুক এটা আমরাও চাই।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)