জঙ্গিদের হাতে সেনার অস্ত্র, ইছাপুর অস্ত্র কারখানায় পর্দাফাঁস পাচারচক্রের

বড় অস্ত্রগুলির একাধিক যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদাভাবে পাচার করা হত। পরে অংশগুলিকে জুড়ে তৈরি করা হতো সম্পূর্ণ অস্ত্রটি।

Updated By: May 7, 2018, 03:45 PM IST
জঙ্গিদের হাতে সেনার অস্ত্র, ইছাপুর অস্ত্র কারখানায় পর্দাফাঁস পাচারচক্রের

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইছাপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে বড়সড় পাচারচক্রের পর্দাফাঁস করল কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। অস্ত্র পাচারকাণ্ডে বাবুঘাট থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে ইছাপুর গান শেল ফ্যাক্টরির এক কর্মীও রয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকী এই পাচারকাণ্ডের সঙ্গে ২ অফিসারও জড়িত বলে  জানা গেছে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন বাবুঘাট চত্বরে তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সেই সময়ই হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় ৬ জনকে। ধৃতদের মধ্যে ২ জন বিহারের বাসিন্দা। বাকিরা ইছাপুরেরই বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তারমধ্যে ২টি স্টেনগান।

আরও পড়ুন, ফোন করে ডেকে যুবকের যৌনাঙ্গ কেটে নিল ২ যুবক!

ইছাপুর গান শেল ফ্যাক্টরি থেকে পাচার হওয়া অস্ত্র মাওবাদী-সহ একাধিক উগ্রপন্থী সংগঠনের কাছে পৌঁছত বলে জানা গেছে। অস্ত্র পাচার করা হতো বিহার ও নেপালে। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে সক্রিয় ছিল এই চক্র। মূলত মজুত বাতিল অস্ত্রশস্ত্রগুলি পাচার করা হত। বাতিল অস্ত্রগুলিকে প্রথমে মেরামত করা হত, তারপর তা পৌঁছে যেত বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনের হাতে।

আরও জানা গেছে, বড় অস্ত্রগুলির একাধিক যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদাভাবে পাচার করা হত। পরে অংশগুলিকে জুড়ে তৈরি করা হতো সম্পূর্ণ অস্ত্রটি। তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্তও উঠত অস্ত্রগুলির দর। ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, এই পুরো পাচারকাণ্ডের সঙ্গে সুশান্ত বসু ও সুকান্ত মুর্মু নামে কারখানার ২ জুনিয়র ম্যানেজার পদমর্যাদার অফিসারও জড়িত।

আরও পড়ুন, Video: কাজ করতে করতে হঠাত্ই মেশিনে ঢুকে গেল হাত-পা, মৃত্যু শ্রমিকের
 
অর্থাত্, সেনার হাতে যে অস্ত্র ওঠার কথা, কারখানার কর্মী-অফিসারদের সহায়তায় সেই অস্ত্র খুব সহজেই পৌঁছে যেত জঙ্গিদের হাতে। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, খোঁজ চালাচ্ছে কলকাতা পুলিস।

.