Anurata Mondal: গোরু পাচারকাণ্ডে এবার ইডি-র হাতে গ্রেফতার অনুব্রত!
আসানসোল সংশোধানাগারে ম্যারাথন জেরা। গোরু পাচারকাণ্ডে শেষপর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল ইডি। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লিতে।
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: ব্যবধান মাস তিনেকের। গোরু পাচারকাণ্ডে এবার ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। কেন? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, জেরায় কার্যত কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি কেষ্ট। শুধু ঘাড় নেড়েছেন! আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে, অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লিতে।
একবার কিংবা দু'বার নয়, টানা দশবার। গোরু পাচারকাণ্ডে যখনই নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তখনই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে গিয়েছে। গত ১১ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বীরভূমের কেষ্ট-র ঠিকানা এখন আসানসোল সংশোধানাগার। প্রভাবশালী তত্ত্বে' খারিজ হয়ে গিয়েছে জামিনের আবেদন। চলতি মাসের ১১ তারিখে অনুব্রতকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের সিবিআই আদালত। ২৫ নভেম্বর সেই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: Suvedu Adhikari: পোস্টারে লেখা 'গেট ওয়েল সুন' , খড়গপুরে শুভেন্দুকে দেখেই 'চোর চোর' স্লোগান!
এদিকে,গোরু পাচারকাণ্ডের তদন্ত করছে ইডিও। যেদিন জামিনে আবেদন খারিজ হয়, সেদিন আসানসোলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক। আসানসোল সংশোধানাগারে যেকোনও দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৬ পর্যন্ত অনুব্রতকে জেরার অনুমতি দেওয়া হয় ইডি।
এদিন আসানসোল সংশোধাগারে যান ইডি-র আধিকারিকরা। জেলে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনুব্রতকে জেরা করেন তদন্তকারী। এরপর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এর আগে, গোরু পাচারকাণ্ডে যখন আসানসোল সংশোধানাগারে বন্দি ছিলেন, তখন অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও গ্রেফতার করেছিল ইডি।