ফের গাড়ির ধাক্কায় লেপার্ডের মৃত্যু জলপাইগুড়িতে

এক উত্সুক ব্যক্তি আহত লেপার্ডের একদম কাছে চলে আসেন। সেই সময়ে আত্মরক্ষার্থে লেপার্ডটি সেই ব্যক্তিকে আঁকড়ে ধরে। 

Updated By: Aug 19, 2019, 07:20 PM IST
ফের গাড়ির ধাক্কায় লেপার্ডের মৃত্যু জলপাইগুড়িতে

নিজস্ব প্রতিবেদন : জলপাইগুড়িতে ফের মৃত্যু চিতাবাঘের। সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ ফালাকাটা ব্লক এর দলগাঁও চা বাগানের রামঝোরা এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিল পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘটি। সেই সময়েই একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। গাড়ির ধাক্কায় কোমরে মারাত্মকভাবে আঘাত পায় চিতাবাঘটি। বনকর্মীরা উদ্ধার করে জলদাপাড়া নিয়ে যাওয়ার পথে চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়। 

গাড়ির ধাক্কার পর চিতাবাঘটি কোনওমতে নিজেকে টেনে রাস্তা পার করে। এর পর রাস্তার পাশে চা বাগানের জলনিকাশী নালায় পড়ে যায়। চিতাবাঘটি দেখতে পেয়ে ভিড় জমায় স্থানীয় ও চা বাগানের কর্মীরা। তাঁরাই আহত চিতাবাঘের উদ্ধারের জন্য দলগাঁও বন দফতরে খবর দেন। 

মারাত্মকভাবে আহত চিতাবাঘের তখন নড়াচড়া করার ক্ষমতা ছিল না। ফলে, হাতের সামনে চিতাবাঘের ছবি তোলার সুযোগ কেউ হারাতে চায়নি। অনেকেই তাঁদের স্মার্টফোন নিয়ে চিতাবাঘের কাছে চলে যান। এই সময়েই ঘটে বিপত্তি। এক উত্সুক ব্যক্তি আহত চিতাবাঘের একদম কাছে চলে আসেন। সেই সময়ে ভয় পেয়ে চিতাবাঘটি সেই ব্যক্তিকে আঁকড়ে ধরে। চিতাবাঘ-সহ ওই ব্যক্তি নেমে যায় নালার নিচের দিকে। তবে, চিতাবাঘটি আহত থাকায় ধস্তাধস্তির পর কোনওমতে উঠে প্রাণে বাঁচেন ওই ব্যক্তি। পুরো ঘটনাটিই এক প্রত্যক্ষদর্শীর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। 

 

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বন দফতরের আধিকারিকরা। আহত চিতাবাঘকে উদ্ধার করেন তাঁরা। তারপর চিতাবাঘটি নিয়ে চিকিত্সার উদ্দেশ্যে জলদাপাড়া রওনা দেন তাঁরা। তবে, আঘাত গুরুতর হওয়ায় চিতাবাঘটিকে বাঁচানো যায়নি। দলগাঁও বন দফতরের আধিকারিক রাজীব দে বলেন,  "চিতাবাঘটি গুরুতর জখম হয়েছিল। ফালাকাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরাও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।" 

আরও পড়ুন : জলাশয় ঘিরে রেখে কচুরিপানার তলা থেকে টেনে বের করে পাচারকারীদের গ্রেফতার করল BSF

গত বছরই সেপ্টেম্বরে ডুয়ার্সে জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১২-২০১৭ সাল পথ দুর্ঘটনায় ১৬টি বাঘ মারা গিয়েছে। এর মধ্যে ৩৮% চিতাবাঘ। 

বন্যপ্রাণীদের রাস্তা পারাপারের জন্য আলাদা সুড়ঙ্গের ব্যবস্থা করলে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার সঙ্গে জঙ্গলের রাস্তায় যানের গতি নজরদারির ক্যামেরার সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, মত তাঁদের। 

.