সংকীর্ণতার বেড়ি ভাঙাই রবীন্দ্র-শিক্ষার উদ্দেশ্য, 'বহিরাগত'র পাল্টা Amit Shah
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের 'বহিরাগত' তকমায় বিঁধে চলেছে তৃণমূল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সংকীর্ণতার বেড়ি ভাঙাই রবীন্দ্র-শিক্ষার উদ্দেশ্য। বিশ্বভারতীতে গিয়ে মনে করিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তৃণমূল যখন বহিরাগত তকমা বিঁধছে বিজেপিকে (BJP), তখন রবিকে পাথেয় করলেন শাহ। গতকাল, শনিবার তিনি বলেছিলেন,'মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারব না! এটা তো বাংলার সংস্কৃতি নয়। এই ভূমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। তাঁর কাছে সারা বিশ্ব একটাই ঘর। এমন সংকীর্ণ রাজনীতি আগে হয়নি।'
এ দিন অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন,'বিশ্বভারতীতে আসার সুযোগ হল। এ আমার পরম সৌভাগ্য। মহামানবকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিলাম। দুনিয়াজুড়ে ভারতীয় কলা, জ্ঞান, সাহিত্য ও দর্শনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন গুরুদেব। সেই যুগে জাতীয়তাবাদের দু'টি স্রোত ছিল- মহাত্মা গান্ধী ও সুভাষবাবু। দু'জনেই তাঁর থেকে অনুপ্রেরণা নিতেন। বিশ্বভারতীর মাধ্যমে ভারতীয় সাহিত্য, ভাষা, দর্শন, কলা সংরক্ষণ ও সমৃদ্ধ করেছেন রবীন্দ্রনাথ। ভারতের সঙ্গে একাত্ম করেছেন দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে। গ্রাম, কৃষি, স্বাস্থ্য, সাফাই ইত্যাদিকে অর্থনীতির সঙ্গে জুড়েছেন শ্রীনিকেতনের মাধ্যমে। তাঁর লেখা গান দু'টি দেশের জাতীয় সংগীত। গুরুদেবকে সম্মানিত করে সম্মান বেড়েছে নোবেলের। গুরুদেবের শিক্ষার উদ্দেশ্য সংকীর্ণতার বেড়ি ভাঙা ও বিষয়কে জানা।'
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের 'বহিরাগত' তকমায় বিঁধে চলেছে তৃণমূল। এ দিনও শাহের নাম না করে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন,'রবীন্দ্রনাথকে যারা চেনে না, তারা পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে চায়। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। এখন রবীন্দ্রনাথকে ছোট করার চেষ্টা করা হয়েছে। শুধু মর্মাহত হয়েই আমরা থেমে থাকতে চাই না। প্রতিবাদ হওয়া দরকর আছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে কেউ বাইরের লোক এসে ছোট করবে, এটা বরদাস্ত করব না।'
রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল নাগাড়ে অভিযোগ করে চলেছে, বাংলার সংস্কৃতি ও কৃষ্টি বোঝে না বিজেপি। তার পাল্টা তৃণমূলকে রবীন্দ্র-শিক্ষা দিলেন অমিত শাহ। বোঝাতে চাইলেন, সংকীর্ণতা নয়, বরং সবাইকে গ্রহণ করাই রবীন্দ্রনাথের দর্শন। তৃণমূলের 'বহিরাগত' রাজনীতি তার সঙ্গে খাপ খায় না।
আরও পড়ন- বাংলার মাটির মানুষই BJP-র আগামী মুখ্যমন্ত্রী, স্পষ্ট করলেন Amit Shah