মমতার পাশেই অখিলেশ-যশবন্ত-কেজরিওয়াল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আন্দোলনে পাশে পেয়ে গেলেন অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, যশবন্ত সিং সহ অনেককেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতা পুলিস বনাম সিবিআই দ্বৈরথে আসরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলনেত্রী। গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করতে মেট্রো চ্যানেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আন্দোলনে পাশে পেয়ে গেলেন অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, যশবন্ত সিং সহ অনেককেই।
আরও পড়ুন - মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে সিপি রাজীব কুমারও
সিপি রাজীব কুমারের বাড়িতে শীর্ষ পুলিস কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার সামর্থ নেই মোদী-শাহের। গতকাল সভায় প্রধানমন্ত্রীর এটা ভাষা! মমতার কথায়, ''ব্রিগেডের সভার দিন সিবিআই অফিসারদের ডেকে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন, কিছু করো। সিবিআইকে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে বিজেপি''। এরপরই মমতা বলেন, ''সাংবিধানিক সংকট তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। গায়ের জোরে জরুরি অবস্থার চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে।'' মাত্র একমাস বাকি নির্বাচনের। তার আগে গুন্ডামি করছেন নরেন্দ্র মোদী, আশঙ্কাপ্রকাশ করেন মমতা। গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করতে ধরণায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
भाजपा सरकार की उत्पीड़नकारी नीतियों और CBI के खुलेआम राजनीतिक दुरुपयोग के कारण जिस तरह देश, संविधान और जनता की आज़ादी ख़तरे में है, उसके ख़िलाफ़ ममता बनर्जी जी के धरने का हम पूर्ण समर्थन करते हैं.
आज देश भर का विपक्ष और जनता अगले चुनाव में भाजपा को हराने के लिए एकजुट है.
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) February 3, 2019
মমতার এই পদক্ষেপকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। তিনি লেখেন, " বিজেপি সরকারের এই উত্পীড়ন নীতি এবং সিবিআই-এর এই খোলাখুলি আচরণ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করছে যে ভাবে তার প্রতিবাদে মমতা ব্যানার্জিজির এই ধরণাকে আমি সম্পূর্ণ সমর্থন করছি। আজ বিরোধী শক্তি এবং দেশজুড়ে মানুষ একজোট হয়ে পরের নির্বাচনেই বিজেপিকে হারাতে তৈরি।"
Spoke to Mamta didi and expressed solidarity. Modi-Shah duo’s action is completely bizarre and anti-democracy
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) February 3, 2019
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমেো অরবিন্দ কেজরিওয়ালও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে এই আন্দোলনকে সমর্থন করে টুইট করেছেন। তিনি লেখেন, "মমতা দিদির সঙ্গে কথা হয়েছে। এবং আমি আমদের জোটের কথাও বলেছি। সংহতি রক্ষা হবেই। মোদি-শাহের দুজনেরই কাজ সম্পূর্ণরূপে অদ্ভুত এবং গণতন্ত্র বিরোধী।"
Prime minister is determined to destroy all the institutions of democracy. Now he destroying the federal structure of our country. Wake up and stop it before it is too late.
— Yashwant Sinha (@YashwantSinha) February 3, 2019
যশবন্ত সিনহা বলেছেন,"গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী! এখন তিনি আমাদের দেশের ফেডারেল কাঠামো ধ্বংস করছেন। জেগে ওঠো এবং দেরি হওয়ার আগেই থামো।"
This is shocking and we strongly condemn this. We stand by Chief Minister of West Bengal to preserve and protect constitution and spirit of federalism in the country. #SaveDemocracy
— N Chandrababu Naidu (@ncbn) February 3, 2019
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুও মমতার পাশেই দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র রক্ষার ডাক দিলেন। তিনি লেখেন, " এটা অত্যন্ত শকিং। এবং আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে দেশের সংবিধান রক্ষার পাশাপাশি দেশের ফেডারেল স্পিরিটকে বজার রাখার চেষ্টা করবো।"