'দুর্নীতিতে যুক্ত' প্রধান, ফুরফুরার উন্নয়ন বৈঠকে ডাক; প্রতিবাদে রাস্তা 'কাটল' গ্রামবাসীরা
অভিযোগ, ১৯ জনের তালিকার বাইরে মোট ৪৮ জনকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। প্রতিবাদে ফুরফুরার গ্রামবাসীরা তিন জায়গায় পাকা রাস্তা কেটে দেয়। ফলে শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া ৩১ নম্বর রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে দুর্নীতিগ্রস্থ এবং পীরজাদাদের তৈরী করে দেওয়া তালিকার বাইরের লোকদের ডাক। এর প্রতিবাদে রাস্তা কাটল গ্রামবাসীরা।
অভিযোগ, ১৯ জনের তালিকার বাইরে মোট ৪৮ জনকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। প্রতিবাদে ফুরফুরার গ্রামবাসীরা তিন জায়গায় পাকা রাস্তা কেটে দেয়। ফলে শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া ৩১ নম্বর রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নের জন্য ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পর্ষদে প্রথমে কয়েকজন সরকারি আধিকারীক এবং জন প্রতিনিধিদের রাখা হয়। পীরজাদাদের একাংশের অভিযোগ, গত এক বছর ধরে কোনও কমিটি নেই ফুরফুরায়। ফুরফুরার প্রধান সামিম আহমেদ ব্যাপক দুর্নীতি করে উন্নয়ন পর্ষদের টাকা তছরুপ করেছেন।
কয়েকদিন আগে পীরজাদাদের একাংশ নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের ১৯ জনের একটি তালিকা দিয়ে আসেন। উন্নয়ন পর্ষদের কাজ নিয়ে কিছু অভিযোগ আসায় জেলা শাসক ফুরফুরার সব পীরজাদা এবং এলাকার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন। আগামী ১৯ মে জাঙ্গিপাড়া পিএইচই গেস্ট হাউসে সেই বৈঠক হবে। বৈঠকে আমন্ত্রিতদের তালিকা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। কারন তাতে ফুরফুরার প্রধান সামিম আহমেদের নামও রয়েছে। এর প্রতিবাদে ফুরফুরা শরিফের প্রধান মাজার, পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির পুরনো বাড়ি এবং তালতলা হাট-সহ তিন জায়গার পিচ রাস্তা কেটে দেওয়া হয়। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা এরপর ফুরফুরা পঞ্চায়েতে তালা মেরে দেন। ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিস।