মধ্যরাতে আচমকাই বোমা-গুলির লড়াই, ফের উত্তপ্ত নানুর
নানুরের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা কাজল শেখ ও প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরার গোষ্ঠী কোন্দল দীর্ঘ দিনের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের উত্তপ্ত বীরভূমের নানুর। মধ্যরাতে চলল দুপক্ষের বোমা-গুলির লড়াই। শনিবার রাত থেকে গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত সওতার চণ্ডীপুর গ্রামে বেলাগাম। খুল্লমখুল্লা চলল শুটআউট। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক যুবক। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। যদিও গুলির কথা অস্বীকার করেছে পুলিস প্রশাসন। পুরুষ শূন্য গোটা গ্রাম।
আরও পড়ুন: প্রেমিকা অন্য যুবকের হাত ধরে পার্কে ঘুরছে, শাস্তি দিতে প্রেমিক বন্দুক নিয়ে যেতেই হেসে ফেললেন সকলে!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নানুরের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা কাজল শেখ ও প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরার গোষ্ঠী কোন্দল দীর্ঘ দিনের। শনিবার রাতে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে কাজল শেখের অনুগামী হুসেন শেখ ও গদাধর হাজরার অনুগামী আনারুল শেখ গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। অভিযোগ, আনারুল শেখ গোষ্ঠীর উপর চড়াও হয় অপর গোষ্ঠীর লোকজন। কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে গ্রামে। বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হন মুকুল মোল্লা নামে এক যুবক। মুকুল আনারুল শেখ গোষ্ঠীর বলে জানা গিয়েছে। অনেকের মাথা ফেটে গিয়েছে, হাত ভেঙে জখম হয়েছেন আরও ৫ জন। আহতরা সকলেই বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।
আরও পড়ুন: “মা তোমার ছোটো ছেলেকে মেরে ফেললাম”
অভিযোগ, কয়েক মাস আগে বরা সাওতা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর থেকেই ১০০ দিনের কাজ, এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ, আবাসন প্রকল্প সহ রাস্তা ঘাট নির্মাণের টাকা কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে এই নিয়ে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। এদিন এলাকার কর্তৃত্ব দখল নিতেই শুরু হয় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। রাত থেকেই গ্রামের রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিস। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এলেও থমথমে এলাকা। গোটা গ্রাম পুরুষশূন্য। তবে গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে এখনও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।