Howrah Shyampur Suicide: 'সকালে ফোনেও মুখ খোলেনি মেয়ে', বেলা গড়াতেই মেলে দুঃসংবাদ! জামাইয়ের 'কুকীর্তি' ফাঁস শাশুড়ির
Howrah Shyampur Suicide: "আর কোনও মা'কে যেন না এত কষ্ট পেতে হয়। ওদের যেন কঠোর শাস্তি হয়", কাতর আর্তি মায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদন: চার বছর আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু গুনাক্ষরেও কিছু বুঝতে পারেননি। অবশেষে মেয়ের চরম ক্ষতির পর প্রকাশ্যে এল জামাইয়ের 'কুর্কীর্তি'। হাওড়ার শ্যামপুরের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামে নেমে এল শোকের ছায়া। সব দেখে 'হতভাগ্য' মা'র দাবি, "আর কোনও মা'কে যেন না এত কষ্ট পেতে হয়। ওদের যেন কঠোর শাস্তি হয়।"
২০১৮ সালে হাওড়ার শ্যামপুরের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের পায়েল জানার সঙ্গে বিয়ে হয় পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) কৃষ্ণেন্দু জানার। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পায়েলের উপর মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন চালাত শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কিন্তু সহ্য করতেন পায়েল। সোমবার তাঁর সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায়। অবশেষে কঠোর পদক্ষেপ নেন তিনি। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, সোমবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার (suicide) চেষ্টা করেন পায়েল। দুপুরে তাঁকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে (Uluberia Hospital) ভর্তি করে কৃষ্ণেন্দুর পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার রাতেই মারা যায় পায়েল।
বাড়ির জামাইয়ের বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে (extra marital affairs) যুক্ত থাকার এবং আত্মহত্যায় (suicide) প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করে মৃতার পরিবার। তাঁদের দাবি, এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই দু'জনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। মৃতার মা অভিযোগ করেন, "সকাল ন'টায় ফোন করেও মেয়ে বলতে পারেনি। তাঁর সঙ্গে এত সব শারীরিক অত্যাচার করেছে। তার কারণে বিষ থেকে বাধ্য হয়েছে। শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ অত্যাচার করেছে। তাদের যেন কঠিন শাস্তি হয়। কোনও মাকে যেন না এত কষ্ট পেতে হয়।" বুধবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
আরও পড়ুন: Burdwan Suicide: তৃণমূলের জয়ের পর বাড়ি গিয়ে 'হুমকি' জয়ী কাউন্সিলরের, ঘরে মিলল অষ্টাদশীর ঝুলন্ত দেহ!
আরও পড়ুন: বদলি তাহেরপুরের ওসি, বামেদের পুরবোর্ড দখলের রাতেই সিদ্ধান্ত