তিন ছেলের বিয়ে দিয়েছেন, ঘরে নাতি রয়েছে, তবুও স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ করতেন স্বামী! পরিণতি
বারুইপুরের পিয়ালির বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের সাধনা রায় কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করতেন। ভোর হতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতেন, ফিরতে ফিরতে রাত ৯টা হয়ে যেত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন ছেলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁদের ঘরে ছেলেমেয়েও রয়েছে। তবুও রাজমিস্ত্রির কাজ করা বছর চুয়ান্নর ব্যক্তি মনে করতেন, স্ত্রী-র বুঝি অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে! এই নিয়ে একাধিকবার স্ত্রীয়ের সঙ্গে ঝগড়া করেছেন। কলকাতার পরিচারিকার কাজ করার ফাঁকেই স্ত্রী অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে বলে সন্দেহ গাঢ় হতে থাকে ওই ব্যক্তির মনে। স্ত্রীর কাজ থেকে ফিরতে দেরি হলেও তিনি মনে করতেন অন্য কারোর সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন তিনি! কেবল সন্দেহের বশেই তিন সন্তানের মাকে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের পিয়ালি ঘোলাঘাটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: দশ বছর পর গর্ভে সন্তান এসেছে, সুখবরে বীরভূমের দেহাতি স্বামী প্রকাশ্যেই স্ত্রীর সঙ্গে যা করলেন...
বারুইপুরের পিয়ালির বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের সাধনা রায় কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করতেন। ভোর হতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতেন, ফিরতে ফিরতে রাত ৯টা হয়ে যেত। স্বামী অমলকৃষ্ণ রায় পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিন সন্তানের প্রত্যেকেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে-বউমা নিয়ে সুখের সংসারে চিড় ধরাল কেবল সন্দেহ! ৫০ বছরের স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ শুরু করতে থাকেন অমলকৃষ্ণ। তাঁর বারবারই মনে হতে থাকে কলকাতাতেই অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর। দীর্ঘ এত বছরের দাম্পত্য জীবনে ধরে ঘুন। প্রত্যেক দিনই হতে থাকে অশান্তি।
আরও পড়ুন:মোবাইল-প্রেমের গেরো, কিশোরের কপালে জুটল মায়ের থেকেও বয়সে বড় বউ
সোমবারও রাতে কাজ থেকে ফেরার পথে স্ত্রী সাধনার সঙ্গে ঝগড়া করেন অমলকৃষ্ণ। চিত্কার চেঁচামেচি শুনে ছেলে-বৌমারাই তাঁদের শান্ত করেন। দুজনেই চুপ হয়ে গেলে নিজেদের ঘরে চলে যান ছেলে-বউরা। বাবা-মায়ের নিত্যদিনের অশান্তিতে কিছুটা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু আরও বড় যে বিপদ অপেক্ষা করছিল, তা আঁচও করতে পারেননি তাঁরা।
আরও পড়ুন: গুলিতে মৃত্যু হল বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতার!
মঙ্গলবার সকালে সাধনা না ঘুম থেকে ওঠায় তাঁকে ডাকতে যান বৌমারা। তাঁরাই দেখেন, দরজা খোলা। হাতে কম্বল পেঁচানো অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন সাধনা। মাথা থেকে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছে।
চিত্কার শুনে ছুটে আসেন তিন ছেলে ও প্রতিবেশীরা। কিন্তু যতক্ষণে তাঁরা দেখেন, ততক্ষণে সব শেষ। খবর দেওয়া হয় বারুইপুর থানায়। পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। বাবার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন ছেলেরা। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত অমলকৃষ্ণ।