কালীপুজোর বিসর্জনে বচসা, খুন দমকল কর্মী
তুহিনশুভ ঘোষ প্রতিমা বিসর্জন দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দেখা যায় কিছু যুবক ওই এলাকায় মদ্যপান করছেন। সেখান্য কিছু কোথায় বচসা শুরু হয়। এরপরেই ওই যুবকরা ধারাল অস্ত্র এবং দা নিয়ে তাড়া করে। প্রথম আঘাত তাঁর মাথায় হয় এবং এরপরে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। এর কিছুক্ষন পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অনুপ কুমার দাস: কৃষ্ণনগরে খুনের ঘটনা। এক যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। জানা গিয়েছে মৃত যুবকের নাম তুহিনশুভ্র ঘোষ। তিনি দমকল বিভাগের কর্মী ছিলেন। রানাঘাটে কর্মরত ছিলেন ওই যুবক। বুধবার সন্ধে থেকেই চলছিল কালীপুজোর বিসর্জন। প্রায় সারারাত বিসর্জন চলেছে বলে জানা গিয়েছে। রাত দুটো নাগাদ নদিয়ার কৃষ্ণনগর শহরের আলিঙ্গন ক্লাবের সদস্যরা যান তাদের প্রতিমা বিসর্জন দিতে। রাজবাড়ি ঘুরে জলঙ্গি ঘাটের দিকে যাওয়ার কথা ছিল তাদের।
তুহিনশুভ্র ঘোষ এই দলের সঙ্গেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দেখা যায় কিছু যুবক ওই এলাকায় মদ্যপান করছেন। সেখান্য কিছু কোথায় বচসা শুরু হয়। এরপরেই ওই যুবকরা ধারাল অস্ত্র এবং দা নিয়ে তাড়া করে।
প্রথম আঘাত তাঁর মাথায় হয় এবং এরপরে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। এর কিছুক্ষন পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিসের কাছে এই ঘটনায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে তাঁরা। অভিযুক্তরা শহরের নূরীপাড়া এবং নাজিরা পাড়ার ছেলে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল গত পরশু ভোর রাত থেকে। কৃষ্ণনগর শহরে জজকোর্ট পাড়ায়, এক ক্লাবের সদস্যদের উপর হামলা করে আগ্নেয় এবং ধারালো অস্ত্র সহ অন্য পাড়ার কয়েকজন শহরের যুবক। এই ঘটনায় আহত একজন মহিলা সহ তিন জন কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি। সিসিটিভি ক্যামেরায় গণ্ডগোলের মুহূর্তের সেই ছবিও ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: প্রাক্তন কাউন্সিলর স্বপন দাসের পায়ে ধরতে বাধ্য করব পুলিসকে, হুশিয়ারি শুভেন্দুর
এই বিষয়ে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। শহরের মানুষ মনে করছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই বচসা। তবে অভিযোগ করা হয় যে দুষ্কৃতীরা টাকা দাবি করে। সেই টাকা না দিতে চাইলে প্রতিমার গয়না খোলার চেষ্টা করা হয়। বাধা দিতে যায় গেলেই এই গন্ডগোল শুরু হয়। গত ২৬ তারিখ মধ্যরাতে প্রায় তিনটের সময়।
আহত তিনজনের চিকিৎসা চলছে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে। গতকাল কালি পুজোর বিসর্জন পর্ব চলছিল সারা রাত ধরে। আগে শহরে এক পাড়ায় মারামারি হওয়ায় আতঙ্কে ছিলেন শহরবাসী। আগেও এই শহরে কালি পুজোর সময় অনেক ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন শহরবাসী। এরপরেই রাতে অন্যপাড়ায় খুনের ঘটনা ঘটলো। এরফলে উত্তজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।