Asansol Electrocution: আসানসোলে পতাকা তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের
দুপুরে নিজের বাড়ির ছাদেই পতাকা তুলছিলেন তিনি। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: আজাদি কা অমৃত মহোৎসব! জাতীয় পতাকা তুলতে গিয়ে এবার বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের। স্বাধীনতা দিবসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল আসানসোলে। এলাকায় শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সৌমিক দত্ত। আসানসোল উত্তর থানার কল্যাণপুর হাউসিংয়ে থাকতেন তিনি। এদিন দুপুরে পতাকা তুলছিলেন বাড়ির ছাদে। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। কীভাবে? ছাদের খুব কাছ দিয়ে চলে গিয়েছে বিদ্যুৎবাহী তার। ছাদে দাঁড়িয়ে লোহার তার দিয়ে পতাকাটি বাঁধছিলেন সৌমিক। তখন কোনওভাবে সেই তারটি বিদ্যুৎবাহী তারে সংস্পর্শে চলে আসে। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্য়ুৎস্পষ্ট হন ওই যুবক এবং অচেতন হয়ে পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে আসানসোল হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারে লোকেরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে! হাসপাতালে সৌমিককে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: Independence Day 2022: নদীর নামেই পরিচয়, স্বাধীনতার ৭৫ পূর্তিতে নতুন স্টেশন পেল ক্যানিংবাসী
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল সৌমিক। স্থানীয় কাউন্সিলর অনির্বাণ দাস বলেন, 'খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বিদ্যুৎ দফতরের তরফে বারবারই বর্ষার সময়ে সাবধান থাকার জন্য প্রচার করা হয়'। এর আগে, হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তখন গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকী, ভরা বর্ষায় ৭ দিনে বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
ঠিক কী ঘটেছিল উলুবেড়িয়ায়? মৃতের নাম আম্মাজান বিবি। বাড়ি, উলুবেড়িয়ার গঙ্গরামপুরে। বাড়িতে ছাগল পুষতেন তিনি। ঘটনার দিন ছাগলের জন্য খাস সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাস্তার পাশে ঝোপে যে বিদ্যুতের তার পড়ে আছে, তা বুঝতে পারেননি। বিদ্যুতের তার হাতে লেগে যায় ওই বৃদ্ধার। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হন তিনি। এদিকে দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরার খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন পরিবারের লোকেরা। শেষপর্যন্ত যেখানে ঘাস সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন, সেখানে গিয়ে আম্মাজান পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তখনও হাতের সঙ্গে লেগেছিল বিদ্যুতের তারটি! এরপর তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উলুবেড়িয়া হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে! চিকিৎসকরা জানান, অনেক আগেই মারা গিয়েছেন আম্মাজান বিবি।
আরও পড়ুন: Joint BDO Suicide: কাজের চাপে মানসিক অবসাদ? আত্মঘাতী জয়েন্ট বিডিও
কলকাতায় প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরে। সেদিন সন্ধ্যায় হাফিজ মহম্মদ ইশাক রোডে জল পেরিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিল নীতীশ যাদব নামে এক কিশোর। সেই জমা জলেই ছিল বিদ্যুতের তার! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নীতীশ। তখন বৃষ্টি পড়ছিল। রাজাবাজারে বাতিস্তম্ভে হাত দিয়ে ফেলেছিল এক বালক। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় সে।