Video: ওড়ার ক্ষমতা নেই! মেদিনীপুরে চিনা মাঞ্জায় ডানা কাটা গেল চিলের
কালনায় বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হল পাখিদের!
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বহুবার। মেদিনীপুরে এবার চিনা মাঞ্জায় ডানা কাটা গেল চিলের। গুরুতর আহত অবস্থায় পাখিটিকে উদ্ধার করলেন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় আবার বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হল পাখিদের! ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিস।
গ্রিন ট্রাইবুনালের নিষেধাজ্ঞা ছিল। গত বছর আবার রাজ্যে চিনা মাঞ্জা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই নিয়ম আর মানছে কে! পুজোর আগে উত্তর কলকাতার চিৎপুর উড়ালপুলে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন এক পুলিসকর্মী। বাইকে চালিয়ে যাওয়ার সময়ে আচমকাই গলায় চিনা মাঞ্জার সুতো গলায় পেঁচিয়ে যায় তাঁর। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বাইক থেকে পড়ে যান ওই পুলিসকর্মী। গলায় ক্ষত নিয়ে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ভালুকের আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু, স্থানীয়দের রোষের শিকার বন্যপ্রাণ
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মেদিনীপুর শহরের নিমতলা এলাকায় চিনা মাঞ্জা সুতোয় আটকে পড়ে একটি চিল। সুতো থেকে ঝুলছিল পাখিটি! ঘটনাটি নজরে পড়তেই পশুপ্রেমী সংগঠনে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গুরুতর আহত অবস্থায় চিলটিকে উদ্ধার করেন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। দেখা যায়, চিনা মাঞ্জায় একটি ডানা কেটে গিয়েছে। চিকিৎসার পর চিলটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
[WATCH] ওড়ার ক্ষমতা নেই! মেদিনীপুরে চিনা মাঞ্জায় ডানা কাটা গেল চিলের - দেখুন সেই ভিডিও#Kite #ChineseManja #ZEE24Ghanta pic.twitter.com/3fwhNOX2VG
— zee24ghanta (@Zee24Ghanta) November 25, 2021
আরও পড়ুন: Malda: প্রশাসনিক কাজ আর নয়, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নিলেন জয়েন্ট বিডিও
পূর্ব বর্ধমানের কালনায় কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটেনি। বরং পরিকল্পনামাফিক পুকুরে বিষ নিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে পাখিদের! কালনার পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতে একতাপল্লী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে মুড়িগঙ্গা নদী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই নদী লাগোয়া ডোবায় মাছ চাষ করেন দুই ব্যক্তি। মাছ খেতে ডোবায় আসে বিভিন্ন ধরণের পাখি। এদিন সকালে দেখা যায়, ডোবায় জলে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অনেক পাখি। কারণ জিজ্ঞাসা করলে ওই দুই ব্যক্তি জানায়, পাখিরা মাছ খাচ্ছিল বলে পুকুরে বিষ দিয়েছেন! এরপর তাদের আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় থানায়। দু'জনকেই আটক করেছে পুলিস।