করোনায় মৃত্যু হল ৪৫ বছর বয়সী কালিম্পংয়ের বাসিন্দার, কোয়ারেন্টাইনে মৃতের পরিবার-সহ চিকিত্সক
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেয়ের পড়াশুনার জন্য প্রায়শই চেন্নাইতে থাকতেন ওই মহিলা। গত ৭ মার্চ চেন্নাই যান। ১৯ তারিখ বিমানে বাগডোগরা পৌঁছন
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে ফের মৃত্য়ু করোনায়। সোমবার মাঝরাতে ৪৫ বছর বয়সী মহিলার মৃত্যু হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তিনি কালিম্পংয়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ওই মহিলার পরিবারের সদস্য, আত্মীয় এবং এক চিকিত্সককে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেয়ের পড়াশুনার জন্য প্রায়শই চেন্নাইতে থাকতেন ওই মহিলা। গত ৭ মার্চ চেন্নাই যান। ১৯ তারিখ বিমানে বাগডোগরা পৌঁছন। এ দিন গাড়িতে চেপে ভক্তিনগর থানার অন্তর্গত এলাকায় এক আত্মীয়র বাড়িতে আসেন। ওই দিনই কালিম্পং ফিরে যান। তবে, ২০ তারিখ জ্বর ও কাশি নিয়ে স্থানীয় এক চিকিত্সকের কাছে যান। তাঁর পরামর্শে ওষুধ খেলেও সুস্থ হননি।
আরও পড়ুন- ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ নবান্নের
গত ২৬ তারিখ শিলিগুড়িতে এসে একটি ল্যাবে বিভিন্ন পরীক্ষা করান ওই মহিলা। শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। করোনা সন্দেহ হওয়ায় মেডিকেলের চিকিৎসকরা বেলেঘাটায় সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠান। সেখান থেকে শনিবার সন্ধ্যায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আক্রান্ত মহিলার সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তাঁদের খোঁজ করছে স্বাস্থ্যদফতর। মেডিকেলে ভর্তির আগে তিনি ক্লিনিকে, ওষুধের দোকানে, আত্মীয়র বাড়িতে যান সেগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে। মহিলা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানাজানি হতেই কালিম্পংয়ে এবং শিলিগুড়ির সংশ্লিষ্ট এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কালিম্পংয়ের ওই চিকিৎসক হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। সেখানকার ওষুধের দোকানটিও এদিন বন্ধ করা হয়। কালিম্পং, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদফতের কর্তরা গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছেন।