রাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত শিবনিবাসে শিবরাত্রি উৎসবে ভক্তের ঢল
বলা হয়, এটিই এশিয়ার বৃহত্তম শিবলিঙ্গ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার দুপুরের পরে পড়ছে বটে শিবরাত্রির লগ্ন, কিন্তু দেখতে গেলে এদিন সকাল থেকেই শিবরাত্রির উৎসবের মেজাজ দেখা গেল নদিয়ার শিবনিবাস রাজরাজেশ্বর মন্দিরে।
বৃহস্পতিবার শিবচতুর্দশী (shivachaturdasi) উপলক্ষে নদিয়ার (nadia) শিবনিবাসে ভিড় করেছেন অসংখ্য পুণ্যার্থী। বলা হয়, এশিয়ার (asia) মধ্যে সর্ববৃহৎ শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরেই। এহেন বিখ্যাত এক শিবমন্দিরে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন ভক্তরা। শিবের মাথায় জল ঢালতে ভোর থেকেই এই মন্দিরচত্বরে শুরু হয়ে গিয়েছে ভক্তদের ঢল।
আরও পড়ুন: Exclusive Video footage জি ২৪ ঘণ্টার কাছে, কীভাবে লাগল মমতার পায়ে
মন্দিরের পুরোহিত স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, করোনা আবহে সমস্ত সতর্কতাবিধি (covid protocol) অবলম্বন করেই ভক্তদের মন্দিরে আসতে বলা হয়েছে। বিষয়টি দেখার জন্য মন্দির-চত্বরে থাকছে কড়া পুলিসি ব্যবস্থাও।
মন্দির-চত্বরে বসেছে মেলাও। মেলা নিয়ে খুবই উদ্দীপ্ত এলাকাবাসী। করোনা-আবহের কারণে দীর্ঘ এক বছর ধরে সাধারণ মানুষের আনাগোনা এ-চত্বরে যথেষ্ট কম ছিল। কেবলমাত্র পুরোহিত পুজো করতেন। কিন্তু লকডাউন (lockdown) পরিস্থিতি ভুলে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেখানে পুজো দিতে শুরু করেছেন অগণিত মহিলা-পুরুষ।
কৃষ্ণনগরের (krishnagar)২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই Shivaniwas মন্দির। বলা হয়, বর্গী ও মারাঠিদের হামলার আশঙ্কায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় (raja krishnachandra roy) তাঁর রাজধানী সাময়িক ভাবে কৃষ্ণনগর থেকে এই অঞ্চলে স্থানান্তরিত করেছিলেন। কথিত আছে, ১৭৫৪ সাল নাগাদ তিনিই এখানে রাজরাজেশ্বর শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের শিবলিঙ্গটি খুবই বৃহৎ আকারের। এখন এটিকে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিবলিঙ্গ হিসাবে ধরা হয়। প্রসঙ্গত, এই শিবমন্দিরের নিকটেই পরবর্তী কালে আরও দু'টি মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়।
আরও পড়ুন: টোপ ছিল ছাগলের, ধরাও পড়ল চিতাবাঘ