পূর্ব মেদিনীপুরের খালে বেঘোরে মৃত্যু ডলফিনের, প্রশ্নের মুখে বনদফতরের ভূমিকা
এলাকায় বনকর্মী এবং পুলিস থাকার পরও ঠিক সময়ে কেন উদ্ধার করে সমুদ্রে পাঠানো হল না ওই ডলফিনকে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেড় দিনের লড়াই সার। খালের জলে বেঘোরে মৃত্যু হল একটি বটল নোজ ডলফিনের। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্বমেদিনীপুরের ভগবানপুরে। মাছ ধরার জালে জড়িয়েই এই অঘটন বলে জানাচ্ছেন মৎস বিশেষজ্ঞরা। তবে এলাকায় বনকর্মী এবং পুলিস থাকার পরও ঠিক সময়ে কেন উদ্ধার করে সমুদ্রে পাঠানো হল না ওই ডলফিনকে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সমুদ্র থেকে খালে উঠে আসে ওই ডলফিনটি। যদিও স্থানীয়রা বুঝতে পারেননি অস্থীর হয়েই ঘুরে বেরাচ্ছিল সে। এরপর শনিবার হঠাৎই কালীনগরের নিতুড়িয়ার কাছে খালে ভেসে ওঠে ডলফিনের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, খালে বসানো মাছ ধরার জালে ডলফিনের গায়ে আঘাত লাগে, তার জেরেই মৃত্যু হয় তার। দেহে জালের আঘাতের চিহ্নও মিলেছে।
অন্যদিকে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে জেলার বনদফতরের বিরুদ্ধে। অভিযোগে সরব হয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। এদিন, বনকর্মীরা ডলফিনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে এলে দীর্ঘক্ষণ ডলফিনের দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: ইংরাজি বলতে না পারায় অবসাদ? নার্সিং ছাত্রীর আত্মহত্যায় চাঞ্চল্য কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে
মৎস বিশেষজ্ঞ শ্যামসুন্দর দাস জানিয়েছেন, ডলফিন সাধারণত যেই পরিবেশে থাকে, তার থেকে অনেকটাই দূরে চলে গিয়েছিল এই ডলফিনটি। মূলত অক্সিজেনের অভাব, দূষণ, পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাবেই মৃত্যু হয়েছে ওই ডলফিনের। প্রম থেকেই যদি নজর দেওয়া হত এবং সময় মতো জাল সরিয়ে নিয়ে তাকে সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়া হত তবে বেঁচে যেত পারত ওই বটল নোজ ডলফিনটি