Cooch Behar shootout: বাড়িতে ঢুকে বিজেপি নেতাকে খুন! দিনেদুপুরে শ্যুটআউট দিনহাটায়
অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। 'পুরনো বিজেপি বনাম দলবদলু বিজেপি', পাল্টা দাবি কুণাল ঘোষের।
দেবজ্যোতি কাহালি: বাড়িতে ঢুকে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা! হাসপাতাল নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হল না। দিনেদুপুরে খুন বিজেপি নেতা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শ্যুটআউট কোচবিহারের দিনহাটায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত বিজেপি নেতার নাম প্রশান্ত রায় বসুনিয়া। বাড়ি, দিনহাটার পুঁটিমারি পঞ্চায়েতের শিমুলতলা এলাকায়। এদিন দুপুরে নিজে ঘরে শুয়েছিলেন প্রশান্ত। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, আচমকাই বাড়িতে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ২ জন দুষ্কৃতী। গুলি লাগে বুকে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, ওই বিজেপি নেতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
নেপথ্যে কারা? বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, 'বাড়ির ভিতরে এসে দিনের বেলা গুলি করে মারা, কোচবিহারের মতো জায়গায় কল্পনাই করা যায় না। আমি যাব। যাওয়ার পরে দেখব, এর সঙ্গে তৃণমূলের হার্মাদরা জড়িত আছে কিনা। তবে দিনহাটা, শীতলকুচি ও সিতাইয়ে উদয়ন গুহের নেতৃত্বের প্রতিদিনই কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে'।
আরও পড়ুন: Singur: সিঙ্গুরের সমবায়ে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ, অভিযোগের তির তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের দিকে
চুপ করে থাকেননি উদয়ন গুহও। তাঁর দাবি, 'যাঁকে গুলি করা হয়েছে, সেই প্রশান্ত রায় বসুনিয়া, সে প্রথমশ্রেণীর সমাজবিরোধী। তা বলে কি বলব, সমাজবিরোধী হত্যা হয়েছে, ভালো হয়েছে। আমি দুঃখিত। সমাজ বিরোধী হলেও, তাঁর বেঁচে থাকার অধিকার আছে। হত্যার কারণ একটা হতে পারে, বিজেপির অন্তর্কলহ অথবা সমাজ বিরোধীদের অন্তর্কলহ। আর অন্য কোনও কারণ আছে বলে মনে করি না। আর তৃণমূলের তো এই হত্যার সঙ্গে জড়়িত থাকার কোনও প্রশ্নই আসে না'।
এদিকে কলকাতায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'ওই জায়গায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল। ওখানে পুরনো বিজেপি বনাম দলবদলু বিজেপি, খুব জটিল জায়গায় রয়েছে ব্যাপারটা। তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই জড়িত নয়। পুলিস নিশ্চয়ই তদন্ত করবে। যাঁরাই দোষী হোক, ধরা পড়বে'।