কলকাতার জন্য বরাদ্দ ৯৩ হাজার, বাকি ভ্যাকসিন আজই পৌঁছবে ৪ জেলায়
জানা গিয়েছে, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণা, বীরভূম উত্তরবঙ্গের ছটি মেডিক্যাল কলেজে প্রথমে ভ্যাকসিন পৌঁছবে। আজ মধ্যরাতের মধ্যেই শেষ হবে এই প্রক্রিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যবাসীর জন্য সুখের দিনই বটে। মহামারীর ভয়াবহতা কাটিয়ে এবার আশার আলো। অপেক্ষা শেষ। কলকাতায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে করোনা ভ্যাকসিন। এবার জেলায় জেলায় বন্টনের পালা। কলকাতার জন্য বরাদ্দ ৯৩ হাজার করোনা ভ্যাকসিনের ফয়েল। জানা গিয়েছে, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণা, বীরভূম উত্তরবঙ্গের ছটি মেডিক্যাল কলেজে প্রথমে ভ্যাকসিন পৌঁছবে। আজ মধ্যরাতের মধ্যেই শেষ হবে এই প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: মহামারীর মহৌষধ, কোভিশিল্ড এল কলকাতায়
মঙ্গলবার বিমান বন্দর থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পণ্যবাহী ট্রাকে করে বাগাবাজারে কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে পৌঁছয় কোভিশিল্ড। পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে বিশেষ বিমানে কলকাতায় এসেছে প্রায় সাত লক্ষ ভ্যাকসিন। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে টিকাকরণ। কাকভোরেই পুণে থেকে রওনা দিয়েছিল ভ্যাকসিন বোঝাই কার্গো বিমান।
এবার রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে টিকা পৌঁছনোর পালা। ইতিমধ্যেই সব জেলায় তিনটি করে হাসপাতালে টিকাকরণের মহড়া হয়েছে।উল্লেখ্য, প্রতি ডোজ কোভিশিল্ডের (Covishield) দাম ধার্য হয়েছে ২০০ টাকা। প্রাথমিকভাবে সরকারকে ১.১ কোটি ডোজ দেবে সেরাম। আপাতত ২০০ টাকা করে পড়ছে প্রথম ১০ কোটি ডোজের দাম।
উল্লখ্য, গতকাল কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধার টিকাকরণের খরচ জোগাবে কেন্দ্রীয় সংখ্যা। প্রথম ধাপে ৩ কোটি কোভিড যোদ্ধাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে গতকাল জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বাকিদের কী হবে? বৈঠকে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেই সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।