বচসার জের, লকডাউনের মাঝেই গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখা থেকে লক্ষাধিক টাকা লুঠপাঠ
লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ওই সি এস পি মালিকের বাড়ি থেকে সরিয়ে গ্রামের এক প্রান্তে একটি ফাঁকা মাঠের মধ্যেই চলছিল সমস্ত কাজ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের সুযোগে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে পালালো একদল দুষ্কৃতি। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার বাজিতপুর এলাকায়। এদিন গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের একটি কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে হামলা চালিয়ে নগদ প্রায় ৪ লাখ টাকা ছিনতাই করে পালায় দুষ্কৃতিরা। এই দলের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার বাজিতপুর এলাকায় বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংকের ওই সি এস পি বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছিল।
লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ওই সি এস পি মালিকের বাড়ি থেকে সরিয়ে গ্রামের এক প্রান্তে একটি ফাঁকা মাঠের মধ্যেই চলছিল সমস্ত কাজ। শুক্রবার বিকেলে পাশের গ্রামের এক গ্রাহকের সঙ্গে সি এস পি মালিকের বচসা হয়। পরদিন সকাল ৯টা নাগাদ প্রায় ৯-১০ জন যুবক গ্রাহকের ছদ্মবেশে এসে মালিকের উপর হামলা চালায়।
ওই সি এস পি'র মালিক জানিয়েছেন, " করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সরকার ও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে স্যোসাল ডিস্ট্যানসিং মেনে চলতে ও খোলামেলা জায়গায় থাকার পরামর্শ দিয়েছে। সেই পরামর্শ মেনেই আমি আমার সি এস পি অফিস আমার বাড়ি থেকে সরিয়ে এলাকার প্রান্তে একটি ফাঁকা মাঠের মধ্যে চালু করি। এর ফলে গ্রাহকেরা স্যোসাল ডিস্ট্যানসিং মেনে লাইনে দাড়াতে পারবে।" পাশাপাশি, এলাকার প্রান্তে হওয়ায় আশপাশের এলাকার মানুষের সমাগম হলেও এই গ্রামের বাসিন্দাদের আপত্তি থাকবে না। এইভাবেই সি এস পি চলছিলো।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে এক গ্রাহক আমার থেকে ১ হাজার টাকা তোলে। এরপর কিছু কারণে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তখনকার মতো ঝামেলা মিটলেও পরে ফের ওই ব্যক্তির ওপর চড়াও হয় ওই যুবকের দল। মারধর করে তাঁর কাছে থাকা ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে পালায় তাঁরা, উপস্থিত গ্রাহকরা বাধা দিতে গেলেও কোনও লাভ হয়নি। এরপর পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।