মৃত্যুর পর কেটেছে ৫ বছর, 'মাওবাদী' তকমা থেকে বেকসুর মুক্তি!
২০০৫ সাল, তিন জনের বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। গ্রেফতার করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : তাঁরা 'মাওবাদী'। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে অপরাধী। সেই 'অপরাধ'-এ ৩ কৃষক নেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। ১৪ বছর পর আদালত দিল বেকসুর মুক্তি। ঘুচল 'মাওবাদী' তকমা। এদিকে মামলা চলাকালীন-ই ২০১৪ সালে মৃত্যু হয় তাঁদের মধ্যে একজনের। তিনিও আজ 'বেকসুর খালাস' পেলেন!
২০০৫ সাল। বাম জমানা। মাওবাদী সমস্যায় জেরবার জঙ্গলমহল। সেই সময়ই পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সুশীল রায়, পতিত পবন হালদার ও সন্তোষ দেবনাথকে। তিন জনের বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। পুলিসের অভিযোগ ছিল, ধৃতদের কাছ থেকে জিলেটিন স্টিক, কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে।
শুনানির পর নিম্ন আদালত তিন জনকেই যাব্বজীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। রায়ের বিরোধিতা করে একবছর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনজন-ই। দাবি করেন, তাঁদের মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসাচ্ছে পুলিস। যে ঘর থেকে জিলেটিন স্টিক সহ অন্যান্য সন্দেহভাজন জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা সেই ঘরেই থাকতেন না।
আরও পড়ুন, তৃণমূলের ঝুলি থেকে বিজেপির হাতে যাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ, জোরালো জল্পনা
উপরন্তু পুলিসের দাবি ছিল যে, ওই তিন 'মাওবাদী'কে তমাঝুড়ি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাইকোর্টে যা খারিজ করে দিয়ে গ্রেফতার হওয়া ৩ জনই দাবি করেন যে, এটা মিথ্যে। তাদের অন্যত্র গ্রেফতার করা হয়। চলতে থাকে সওয়াল জবাবের পালা।
এদিকে মামলা চলাকালীন-ই ২০১৪ সালে জেলেই মৃত্যু হয় সুশীল রায়ের। অবশেষে আজ বাকি ২ জন প্রদীপ বরণ ও সন্তোষ দেবনাথকে আজ বেকসুর মুক্তির নির্দেশের দিলেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুর ৫ বছর পর 'বেকসুর মুক্তি' পেলেন সুশীল রায়ও। মামলাকারীদের আইনজীবী অমর্ত্য ঘোষ অভিযোগ করেছেন, মিথ্যে মামলায় দিনের পর দিন হেনস্থা করা হয় তাঁদের।