রাতারাতি কোটিপতি দিনমজুর টাকা দেবেন নদীবাঁধ মেরামতে!
বলবাহাদুর ১৫০ টাকার টিকিট কিনেছিলেন। তিনি দৈনিক ১৭০ টাকা আয় করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এ একেবারেই আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়ানো! না হলে সামান্য দিনমজুর কীভাবে বাঁধ মেরামতের টাকা জোগানোর ভাবনা ভাবতে পারেন!
রাতারাতি কোটিপতি এক শ্রমিক। নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছেন নিজের ভাগ্যজোরে। কিন্তু তিনি আরও অবাক করে দিয়েছেন নিজের এলাকাকে। নিজের টানাটানির সংসার হওয়া সত্ত্বেও লটারির টাকা একা ভোগ করার কথা ভাবেননি তিনি। ঠিক করেছেন, কিছু টাকা তিনি নদীবাঁধের জন্য খরচ করবেন, যাতে বর্ষায় তাঁর গ্রাম নিরাপদ থাকে!
মালবাজার ব্লকের ওয়াসাবাড়ি চা-বাগান সংলগ্ন তিস্তানদীর কিনারে টোটগাঁও। এই গ্রামেরই বাসিন্দা কোটিপতি হয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে যায় রবিবার রাতে। রবিবারে একটি লটারি কোম্পানি তাদের রাত আটটার লটারির ফলাফল ঘোষণার পরে হইচই পড়ে যায় যে, টিকিট নম্বর '৬০ জে ৭৩০০৩' প্রথম পুরস্কার, ১ কোটি টাকা পেয়েছে! তবে কেউ বলেন ওয়াসাবাড়ি, কেউ বলেন এলেনবাড়ির লোক পুরস্কার জিতেছেন।
যদিও আজ, সোমবার সকালে খোঁজ করার পর জানা গেল, দিনমজুর ও কৃষিশ্রমিক বলবাহাদুর রাই এই লটারি জিতেছেন।
কেমন লাগছিল বলবাহাদুরের?
তিনি বলেন, রাতেই খবরটি পান। পাওয়ার পর সারা রাত ঘুমোতে পারেননি। কয়েকজন যুবক তাঁকে অন্য জায়গায় নিয়ে যান যাতে তাঁর কোনও বিপদ না হয়। তাঁকে সারারাত পাহারা দেন তাঁরা।
বলবাহাদুর ১৫০ টাকার টিকিট কিনেছিলেন। তিনি দৈনিক ১৭০ টাকা আয় করেন। স্বপ্নেও ভাবেননি কোটিপতি হবেন! তিনি বলেন, লটারির কিছু টাকা বাঁধ মেরামতিতে দেবেন তিনি! তিস্তার হাত থেকে কৃষিজমি রক্ষার্থে ওখানে লোহার জাল দিয়ে বাঁধ বাঁধা হচ্ছে। তিনি ওই লোহার জালের খরচ দেবেন। সমস্ত এলাকাবাসী মিলে মজবুত বাঁধ বানাবেন।
টোটগাঁওয়ের মানুষ, বলবাহাদুরের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ প্রধানও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, সব রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব শীর্ষ আদালতের