ওয়ানডেকে আবার স্বমহিমায় ফেরাল আফ্রিদি বনাম গেইলের টাই যুদ্ধ
টেস্ট থাকবে ওর ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি নিয়ে। টি টোয়ন্টি উঠে আসবে ওর গ্ল্যামার আর আধুনিকতা নিয়ে। কিন্তু ওয়ানডে আর বাঁচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের গসিপ রুমে কান পাতলে এমন কথাই শোনা যায়, কিন্তু শুক্রবার রাতে ক্যারিবিয়ান সাগরে পারে যা হল তাতে একটু অন্যরকম ভাবতে ইচ্ছে করছে।
পাকিস্তান-২২৯/৬। ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ২২৯ (ম্যাচ টাই)
টেস্ট থাকবে ওর ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি নিয়ে। টি টোয়ন্টি উঠে আসবে ওর গ্ল্যামার আর আধুনিকতা নিয়ে। কিন্তু ওয়ানডে আর বাঁচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের গসিপ রুমে কান পাতলে এমন কথাই শোনা যায়, কিন্তু শুক্রবার রাতে ক্যারিবিয়ান সাগরে পারে যা হল তাতে একটু অন্যরকম ভাবতে ইচ্ছে করছে। ঐতিহ্যের অ্যাসেজ টেস্ট সিরিজ চলাকালীন দারুণ একটা ওয়ানডে ম্যাচ দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম পাকিস্তানের একদিনের সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ টাই হল।
এই ম্যাচটা যখন শেষ হয়, তখন ভারতে প্রায় মধ্যরাতে। ক্রিকেটের দেশ ভারতের অধিকাংশ মানুষই এই ম্যাচের সাক্ষী থাকতে পারলেন না। কিন্তু হাতে গোনা যে কজন ভক্ত লাইভ দেখলেন তারা ভাগ্যবান হয়ে থাকলেন। সেন্ট লুসিয়ার টাই ম্যাচটা প্রমাণ করল ওয়ানডের উত্তেজনা আর সৌন্দর্যটা তো হারিয়ে যায়নি।
২৩০ রান তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেট হারিয়ে বসে মাত্র ১৯১ রান। সেই সময় ক্যারিবিয়ানদের দরকার ছিল ১৮ বলে ৩৯ রান। সেখান থেকে সুনীল নারিন নাটকীয়ভাবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। শেষ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রানে, হাতে এক উইকেট। পাক পেসার ওয়াহাব রিয়াজের সেই ওভারের প্রথম দুটো বলে উঠেছিল মাত্র দু রান। ওভারের পঞ্চম বলে ৬ হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন হোল্ডার। শেষ বলে জিততে হলে ক্যারিবিয়ানদের দরকার ছিল তিন রান। রিয়াজের বলে হোল্ডার দুটো রান নিতে পারেন। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ দাঁড়িয়ে থাকল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জেতে পাকিস্তান, দ্বিতীয়টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তৃতীয় ম্যাচটা টাই হল।