বিসিসিআইয়ের সংবর্ধনায়, সবার কথা বললেও, ধোনির নামই নিলেন না সেহবাগ!
তাঁকে প্রায় আড়াই বছর ধরে বাড়িতে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তাঁর জায়গায় খেলে ভারতীয় ওপেনাররা রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন এমনটা আদৌ নয়। তবু এক লুকোনো কারণে বিসিসিআই দলে ব্রাত্যই রেখেছিল বীরেন্দ্র সেহবাগকে।
ওয়েব ডেস্ক: তাঁকে প্রায় আড়াই বছর ধরে বাড়িতে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তাঁর জায়গায় খেলে ভারতীয় ওপেনাররা রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন এমনটা আদৌ নয়। তবু এক লুকোনো কারণে বিসিসিআই দলে ব্রাত্যই রেখেছিল বীরেন্দ্র সেহবাগকে।
রাগেই হোক, ক্ষোভেই হোক অথবা অভিমানে, ক্রিকেটকে বিদায়টাই জানিয়ে ফেলেছেন বীরেন্দ্র সেহবাগ। আর তার এক মাস পড়ে এসে বিসিসিআই প্রায়শ্চিত্ত করল ফিরোজ শাহ কোটলায় গান্ধী-ম্যান্ডেলা সিরিজের শেষ টেস্টের শুরুতে।
ফিরোজ শাহ কোটলায় এবার বীরু ৩১৯, ৩০৯ স্ট্যান্ডও করা হবে। নিজের দুই ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়েই এদিন মাঠে এসেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের সবথেকে রোমাঞ্চকর ব্যাটসম্যান। নিজের ছেলেকে দিব্যি বলেওদিলেন, 'আমার ৩১৯ রানের রেকর্ড ভাঙতে পারলে, ফেরারি গাড়ি দেব।'
পাশাপাশি বীরু এটাও অবলীলায় স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ৩০০ রান করতে গেলে অনেক কিছুরই দরকার হয় বটে। তবে সবথেকে বেশি দরকার হয়, ভাগ্যর!
তিনি তাঁর অধিনায়ক হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদেরকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মুখ থেকে একবারও বেরোয়নি তাঁর শেষ অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির কথা।
আর তারপরেই উঠছে প্রশ্ন। বীরু কি ইচ্ছে করেই নিলেন না, ধোনির নাম, নাকি, ভুলবশত এমনটা হয়ে গিয়েছে? উত্তর যেটাই হোক, খেলার মতোই আজ বিসিসিআইয়ের সংবর্ধনাতেও মেজাজেই ছিলেন নজফগড়ের নবাব।