Manipur Violence: মণিপুরের হিংসার আগুনে পুড়ে ছাই সুনীলের ভারতীয় দলের সতীর্থ চিংলেনসানার বাড়ি
কয়েক মাস আগের কথা। তৎকালীন এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তাঁর দল হায়দরাবাদ এএফসি কাপের প্লে-অফ খেলছিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তাঁর মাথার উপর ছাদ ভেঙে পড়ে। সেদিন ড্রেসিংরুমে ঢুকে মোবাইল হাতে নিয়েই দেখেছিলেন অগণিত মিসড কল ও মেসেজ। তাঁর জন্য যে খারাপ খবর অপেক্ষা করছে সেটা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিজের রাজ্য মণিপুর নিয়ে এমনিতেই তাঁর চিন্তার শেষ ছিল না। কিন্তু তাই বলে তো আর ঘরে চুপ করে বসে থাকা যায় না। ফুটবল খেলেই মনকে শান্ত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আর হল কোথায়! ভারতীয় ফুটবল সাড়া জাগানো সেন্টার ব্যাক চিংলেনসানা সিং-এর সব শেষ হয়ে গিয়েছে। মণিপুরের হিংসার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে হায়দরাবাদ এফসি-র হয়ে আইএসএল জেতা এই ফুটবলার। সেটাই আক্ষেপের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন ভারতের জার্সিতে ১১টি ম্যাচ খেলা চিংলেনসানা।
কয়েক মাস আগের কথা। তৎকালীন এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তাঁর দল হায়দরাবাদ এএফসি কাপের প্লে-অফ খেলছিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তাঁর মাথার উপর ছাদ ভেঙে পড়ে। সেদিন ড্রেসিংরুমে ঢুকে মোবাইল হাতে নিয়েই দেখেছিলেন অগণিত মিসড কল ও মেসেজ। তাঁর জন্য যে খারাপ খবর অপেক্ষা করছে সেটা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি। পরিবারের সঙ্গে সেই মুহূর্তে যোগাযোগ করতে পারেননি। তবে অনেক কষ্ট করে এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে পেরেছিলেন সুনীল ছেত্রীর সতীর্থ। এবং জানতে পেরেছিলেন মণিপুরের হিংসার আগুন তাঁর বাড়ি থেকে শুরু করে নিজের হাতে তৈরি করা অ্যাকাডেমি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
সব কিছু হারিয়ে ফেলা চিংলেনসানা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলছিলেন, "আমার বাড়ি মণিপুরের চুরাচাঁদপুরে। মণিপুরের হিংসা আমাদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। চুরাচাঁদপুরে আমি একটা ফুটবল মাঠ ও অ্যাকাডেমি বানিয়েছিলাম, সেটাও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।" কিন্তু সেই সময় তাঁর বাবা-মা কেমন ছিলেন? সেটাই জানাতে ভুলে যাননি। চিংলেনসানা ফের যোগ করেন, "অ্যাকাডেমি বাঁচাতে না পারলেও, বাবা-মা ঠিকঠাক ছিলেন। এক পরিচিত ওঁদের রক্ষা করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যায়। আর একটু দেরি হলে আরও অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেত।"
সেই ঘটনার অনেক দিন পর চিংলেনসানা তাঁর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। কথা বলার সময় বন্দুকের আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন মা-বাবার কাছে যাবেন। একটুও দেরি করতে চাননি। তাঁর বাড়ি, গ্রাম, তরুণ ফুটবলারদের তৈরি করার স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে। শুধু পরিবার বেঁচে রয়েছে। সেটা নিয়েই আপাতত বাঁচতে চান।