জীবন সমুদ্র থেকে এবার অলিম্পিকের সুইমিং পুলে সিরিয়ার মার্দিনি
ভূমধ্যসাগর সাঁতরে নৌকো টেনে পৌছে দিয়েছিলেন নতুন দেশে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার তরুণীই এবার ঢেউ তুলেছে রিও ডি জেনেইরোর সুইমিং পুলে। দেশহীন শরণার্থীদের দলের হয়ে এবারে অলিম্পিকে প্রতিযোগী আঠেরো বছরের ইওসুরা মার্দিনি। ইতিমধ্যেই একশো মিটার বাটারফ্লাইয়ে মূল পর্বে পৌছে গিয়েছেন সিরিয়ার হার না মানা তরুণী।
ওয়েব ডেস্ক: ভূমধ্যসাগর সাঁতরে নৌকো টেনে পৌছে দিয়েছিলেন নতুন দেশে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার তরুণীই এবার ঢেউ তুলেছে রিও ডি জেনেইরোর সুইমিং পুলে। দেশহীন শরণার্থীদের দলের হয়ে এবারে অলিম্পিকে প্রতিযোগী আঠেরো বছরের ইওসুরা মার্দিনি। ইতিমধ্যেই একশো মিটার বাটারফ্লাইয়ে মূল পর্বে পৌছে গিয়েছেন সিরিয়ার হার না মানা তরুণী।
যুদ্ধ-মৃত্যু আর যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচতে ঘর ছাড়া।
মাথা গোঁজার এতটুক জায়গা খুঁজে নিতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে ইউরোপে। ছোট ছোট নৌকোয় ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পেরোনো।
ঝুঁকির সেই যাত্রায় বেরিয়ে পড়েছিল সিরিয়ান তরুণী ইওসুরা মার্দিনির পরিবারও। কিন্তু তুরস্ক থেকে গ্রিসের উপকূলে যাওয়ার পথে বিকল হয়ে যায় বোটের ইঞ্জিন। ছ’জনের বোটে তখন মার্দিনির পরিবার সহ প্রায় কুড়ি জন। অনেকেই সাঁতারও জানেন না। এরপর এক অসাধ্যসাধন। বোন আর অন্য এক মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে জলে নেমে পড়েন মার্দিনি। আঠেরো জন যাত্রী সহ বোটটিকে তাঁরাই পাড়ে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন- রিও অলিম্পিকে টেবল টেনিসে কেমন ফল করল ভারত?
একবছর পর সেই মার্দিনি এবারে জীবনযুদ্ধের সাঁতারে নেমেছেন রিও অলিম্পিকে। বার্লিনে আশ্রয় পাওয়া ইউসুরা মার্দিনি এবার অলিম্পিকের মূলপর্বে অংশ নিচ্ছেন একশো মিটার বাটারফ্লাই ও ফ্রিস্টাইলে। কোনও দেশের হয়ে নয়, দশজন শরণার্থীকে নিয়ে তৈরি অলিম্পিকের বিশেষ দলের হয়ে।
মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজতে ভূমধ্যসাগর পেরনোর সেই অভিজ্ঞতা যে কতটা দুঃসহ তা দুনিয়াকে এক লহমায় বুঝিয়ে দিয়েছিল নৌকাডুবিতে সিরিয়ান শিশু আয়লান কুর্দির মর্মান্তিক মৃত্যু। দাঁতে দাঁত চাপা সেই লড়াইয়ে এবার জীবনের জয়গানের বার্তা রিওর মঞ্চে পৌছে দিয়েছেন ইউসুরা মার্দিনি।