Surajit Sengupta: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কিংবদন্তি ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত
আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সুভাষ ভৌমিকের (Subhash Bhowmick) মৃত্যুশোকের রেশ এখনও কাটেনি ময়দানে, তার মধ্য়েই এক দুশ্চিন্তার খবর চলে এল। সুভাষ ভৌমিকের প্রাণের বন্ধু ও ময়দানের কিংবদন্তি ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta) করোনা (Covid-19) আক্রান্ত। গত রবিবার গভীর রাতে তাঁরে ভর্তি করা হয়েছে বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা উইঙ্গারের শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় তাঁকে রাখা হয়েছে অক্সিজেন সাপোর্টে।
আরও পড়ুন: সবার প্রিয় ‘হিরো’ ভোম্বলের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ময়দান
শরীরে করোনার মৃদু উপসর্গ থাকায় কোনওরকম ঝুঁকি নেয়নি পরিবারের লোকজন। জানা গিয়েছে, গত দু'দিন ধরেই প্রচণ্ড কাশির সমস্যা ভুগছিলেন প্রবাদপ্রতীম ফুটবলার। কাশি থামতেই চাইছিল না। অত্যাধিক কাশির জন্যই অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-তে নেমে আসে। কৃত্তিম ভাবে অক্সিজেন দেওয়ায় তাঁর স্যাচুরেশন রয়েছে ৯২-এর আশেপাশে। সাত-আটের দশকের ময়দান কাঁপানো মাঝমাঠের মায়েস্ত্রোকে আপাতত চিকিৎসকরা পর্যবক্ষণে রেখেছেন। দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যায় ভোগা সুভাষ ভৌমিকের শরীরেও শেষ সময়ে বাসা বেঁধেছিল মারণ ভাইরাস। ফলে ৭১ বছরের ফুটবলারকে নিয়েও একটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে! হৃদযন্ত্রের পাশাপাশি ফুসফুসেও সমস্যা রয়েছে লাল-হলুদের 'ঘরের ছেলে'র।
সাতের দশকের শেষ দিকে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক হওয়া সুরজিৎ সেনগুপ্ত কলকাতার তিন প্রধান মাতালেও, লাল-হলুদের 'ঘরের ছেলে' হয়ে গিয়েছিলেন। দলের একাধিক যুদ্ধ জয়ের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন তিনি।১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ এবং ১৯৭৭-এর কলকাতা ফুটবল লিগ, ছ’বার আইএফএ শিল্ড, তিন বার ডুরান্ড জয়ের মুকুট উঠেছিল ইস্টবেঙ্গলের মাথায়। স্বপ্নের দৌড়ে চলছিল লাল-হলুদ বাহিনীর। ১৯৭৫ সালের ডার্বিতে (আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল) ইস্টবেঙ্গল ৫-০ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগানকে। ঐতিহাসিক এই ম্যাচের পাঁচ মিনিটে গোল করেই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। জোড়া গোল করেছিলেন শ্যাম থাপা, স্কোরশিটে নাম লেখান রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় এবং শুভঙ্কর সান্যালও। দলের হার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন সবুজ-মেরুন সমর্থক উমাকান্ত পালধি। সুইসাইড নোটে তিনি লিখে যান যে, পরজন্মে ফুটবলার হয়ে এর প্রতিশোধ নেবেন তিনি।