খেলার দুনিয়ায় কুখ্যাত ৮ কামড়
লুই সুয়ারেজের কামড় নিয়ে তোলপাড় ফুটবল দুনিয়া। একবার নয়, এই নিয়ে তিনবার প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে কামড়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন সুয়ারেজ। তবে সুয়ারেজ একা নয়। খেলার দুনিয়ায় কামড়ের ইতিহাস অনেক পুরনো। রইল এরকমই কিছু কামড়ের গল্পো-
লুই সুয়ারেজের কামড় নিয়ে তোলপাড় ফুটবল দুনিয়া। একবার নয়, এই নিয়ে তিনবার প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে কামড়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন সুয়ারেজ। তবে সুয়ারেজ একা নয়। খেলার দুনিয়ায় কামড়ের ইতিহাস অনেক পুরনো। রইল এরকমই কিছু কামড়ের গল্পো-
১)মাইক টাইসনের কামড় ইভান্ডার হোলিফিল্ডকে-১৯৯৭ সালে লাস ভেগাসে হেভিওয়েট লড়াইয়ের সময় প্রতিপক্ষ হোলিফিল্ডের ডান কাম কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছিলেন টাইসন। রিংয়ের মধ্যেই ছেঁড়া কানের টুকরো খুঁজে পাওয়া গেলেও সেই টুকরো আর জোরা যায়নি। টাইসনকে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়। ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফাইনের পাশাপাশি সারাজীবনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদিও পরে তুলে নেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা।
২)বস্টন কেলটিকসের বেসবল খেলোয়াড় ড্যানি এইঞ্জের ডাব হাতের আঙুল কামড়ে দিয়েছিলেন আটলান্টা হকসের ওয়েন `ট্রি` রলিনস। টিটেনাস ইঞ্জেকশন ছাড়াও হাতে সেলাই করতে হয় ড্যানির। পরদিন বস্টন হেরাল্ডের শিরোনাম ছিল, `ট্রি বাইটস ম্যান।`
৩)সালটা ২০০১। গোল করেছিলেন সতীর্থ হোসে অ্যান্তনিও রেয়েস। সেই গোল উদযাপন করতে রেয়েসের যৌনাঙ্গে কামড়ে দেন সেভিয়া মিডফিল্ডার ফ্রান্সিসকো গ্যালার্দো। তাঁকে সাসপেন্ড ও জরিমানা করে রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন। পরে গ্যালার্ডো বলেন, "আমার মনে হয় না কোনও ভুল করেছি।"
৪)২০০৬ সালে লিভারপুলের জাভিয়ার ম্যাসচেরানোর হাত কামড়ে দেন টটেনহ্যাম ফরওয়ার্ড জারমেইন ডেফো। কোনও শাস্তি হয়নি তাঁর। পরে ডেফো বিবৃতি দেন, "আমি মাঝে মাঝে এরকম অদ্ভুত আচরণ করে থাকি।"
৫) বাফেলো সাবরের অ্যান্ড্রু পিটারসের আঙুল কামড়ে ছিঁড়ে দেন ওটওয়া সেনেটরের জারকো রুতু। ৩১ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার ফাইনের পাশাপাশি সাসাপেন্ড করা হয় রুতুকে।
৬) ২০১১ সালে এনএইচএল স্ট্যানলি কাপের ফাইনালে ভ্যাঙ্কুভারের অ্যালেক্স বারোজ কামড়ে দেন ব্রুইনস সেন্টার প্যাট্রিস বার্জেরনকে।
৭) ১৯৯৬ সালে জর্জিয়া ইউনিভারসিটি আমেরিকান কলেজের ম্যাসকট উগা পিছন থেকে কামড়ে দেন অবার্নের রবার্ট বেকারকে।
৮) রাগবি খেলায় ইংল্যান্ডের হুকার ডিলান হার্টলে কামড়ে দেন আয়ারল্যান্ডের স্টিফেন ফেরিস। এই কাজের জন্য ৮ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় হার্টলের ওপর। পরে হার্টলের কব্জি কামড়ে দিয়েছিলেন পেদ্রি ওয়ানেনবার্গ। যদিও তাঁর ওপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।