কলকাতা-রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের চুক্তি হয়েছিল: পুলিস
ফিক্সিং কাণ্ডে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এল। শনিবার পরিষ্কার হয়ে গেল শুধু শ্রীসন্থ, অঙ্কিত, অজিতরা নন আইপিএল ফিক্সিং কাণ্ডের জাল আরও গভীরে। আজ বিকেলে পুলিসের সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য। কলকাতা নাইট রাইডার্স- রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচেও স্পট ফিক্সিংয়ের চুক্তি হয়েছিল। তবে সেই ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের প্রথম একাদশে ছিলেন না শ্রীসন্থ, অঙ্কিত চহ্বান, অজিত চান্ডিলারা। তাই কেকেআর-রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পট ফিক্সিং হয়নি বলে অনুমান।
ফিক্সিং কাণ্ডে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এল। শনিবার পরিষ্কার হয়ে গেল শুধু শ্রীসন্থ, অঙ্কিত, অজিতরা নন আইপিএল ফিক্সিং কাণ্ডের জাল আরও গভীরে। আজ বিকেলে পুলিসের সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য। কলকাতা নাইট রাইডার্স- রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচেও স্পট ফিক্সিংয়ের চুক্তি হয়েছিল। তবে সেই ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের প্রথম একাদশে ছিলেন না শ্রীসন্থ, অঙ্কিত চহ্বান, অজিত চান্ডিলারা। তাই কেকেআর-রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পট ফিক্সিং হয়নি বলে অনুমান।
পড়ুন শ্রীসন্থকে বিয়ে করতে অস্বীকার পাত্রীর, বানচাল অঙ্কিতের বিয়ে
এদিকে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে যে ভিডিও পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে বুকিদের সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প করছেন বিভিন্ন ক্রিকেটাররা।
মুম্বইয়ের যে পাঁচতারা হোটেলে শ্রীসন্থ ছিলেন সেখানে থেকে তাঁর ল্যাপটপ-আইপ্যাড-মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শ্রীসন্থের ল্যাপটপে পাঁচ বুকি, ও আরও তিন ক্রিকেটারের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিস জানায়।
এদিকে রাজস্থান রয়্যালসের আরও তিনটে ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ে হয়েছে বলে অনুমান পুলিসের। সেই মত রাজস্থানের তিনটে ম্যাচের `র ফুটেজ` পরীক্ষা করবে দিল্লি পুলিস। পুলিস জানায় ক্রিকেটারদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হবে।
প্রাথমিক অনুমান ওই তিন ক্রিকেটারের মধ্যে আছেন ওয়েইজ শাহ, শন টেট ও রাজস্থান রয়্যালসের আরও এক স্থানীয় ক্রিকেটার। তবে পুলিস অবশ্য এই তিন ক্রিকেটারের নাম জানায়নি।
পুলিস মনে করছে রাজস্থান রয়্যালসের শুধুমাত্র তিন ক্রিকেটার নয়। আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার জড়িয়ে আছে ফিক্সিংয়ের এই খেলায়। এই ভিত্তিতে মুম্বইয়ের কালবাদেবি এলাকা থেকে রমেশ ব্যাস নামে এক বুকিকে আটক করেছে মু্ম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। রমেশ ভারতের এবং পাকিস্তানী বুকিদের মধ্যে লিঙ্ক হিসাবে কাজ করত। রমেশের ডায়রিতে সেই সব বুকিদের নাম রয়েছে যারা আইপিএলের স্পট ফিক্সিং মামলায় সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। এরপরই মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ একটি পাঁচতারা হোটেলে অভিযান চালিয়ে থেকে উদ্ধার করেছে শ্রীসন্থের একটি ল্যাপটপ। যার থেকে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অন্যদিকে, আইপিএলের লজ্জার গড়াপেটায় এবার জড়াল কলকাতার নাম। ফিক্সিংয়ে জড়িত টাকার সন্ধানে কলকাতায় আসছে দিল্লি পুলিস। কলকাতার পাশাপাশি দেশের আরও কয়েকটি বড় শহরে তল্লাসি চালানো হবে। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে 'ইউ টার্ন'৷ ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে যে সব বুকি ধরা পড়েছে, তাদের জেরা করেই আরও সূত্র এসেছে৷ সেই সূত্র ধরেই চলবে তল্লাশি৷ এ জন্য বুকিদেরও কয়েক জনকেও সঙ্গে নিচ্ছেন পুলিশকর্তারা৷
এদিকে, স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত রাজস্থান রয়্যালসের শ্রীসন্থ, অজিত চান্ডিলা ও অঙ্কিত চহ্বাণকে আজ দ্বিতীয় দফায় জেরা করতে চলেছে পুলিস। সূত্রে খবর, আজ এই তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। এই তিন ক্রিকেটারদের একই সঙ্গে ধৃত বুকিদেরও জেরা করা হবে।
আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ে বিতর্কের সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজতে আজ ফের খানাতল্লাসি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিস। পুলিস চেষ্টা করছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই গড়াপেটায় যুক্ত টাকা উদ্ধার করতে।
অন্যদিকে, জয়পুর পুলিস বিভিন্ন বুকির কল রেকর্ডের একটি তালিকা আজ প্রকাশ করবে বলে খবর। গত দু'মাস ধরে বুকিদের কাছ থেকে ৩০০টির বেশি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
চলতি আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটার শ্রীসন্থ, অজিত চান্ডিলা ও অঙ্কিত চহ্বাণ গতকালই পুলিসি জেরায় তাঁদের দোষ কবুল করেনিয়েছেন বলে খবর।
দু'দিনের নীরবতা ভেঙ্গে অবশেষে শুক্রবার রাতে আইপিএল প্রধান রাজীব শুক্লা জানিয়েছেন দোষ প্রমাণিত হলে এই তিনজনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে বিসিসিআই।
পুলিসের স্ক্যানারের তলায় পেপসি আইপিএলের বেশ কিছু ম্যাচের সঙ্গে গত আইপিএলের রাজস্থানের একটি ম্যাচও আছে। পুলিসের আশঙ্কা ওই ম্যাচেও স্পট ফিক্সিং হয়েছিল।
এদিকে, আইপিএলে স্পটফিক্সিং কাণ্ডে, বুকিদের থেকে যে অর্থ পেয়েছেন চান্ডিলা ও শ্রীসন্থ তা বাজেয়াপ্ত করল পুলিস। সূত্রের খবর, চান্ডিলা যে কুড়ি লক্ষ টাকা অর্থ নিয়েছিলেন তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে শ্রীসন্থের অর্থের পরিমান এখন স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। এদিকে রবিবার এই ইস্যুতে বিসিসিআইয়ের ওয়ার্কিং কমিটির পক্ষ থেকে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
আইপিএল স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্করি তদন্তে আরও একধাপ এগোল দিল্লি পুলিস। সূত্রের খবরানুযায়ী, জেরার পর অভিযান চালিয়ে অজিত চান্ডিলা ও শ্রীসন্থ বুকিদের থেকে স্পট ফিক্সিং বাবদ যে অর্থ নিয়েছে,তা উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিসের একটি দল। স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার জন্য কুড়ি লক্ষ টাকা বুকিদের থেকে নিয়েছিলেন চান্ডিলা। মনে করা হয়েছে শ্রীসন্থ ৪০ লক্ষ টাকার মত ঘুষ নিয়ে ছিলেন।
তবে সূত্রের খবর, দুই ক্রিকেটারের থেকেই বুকিদের থেকে পাওয়া সেই টাকা উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে তৃতীয় ক্রিকেটার অঙ্কিত চৌহানের স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য বুকিদের কাছ থেকে পাওয়ার কথা ছিল ষাট লক্ষ টাকা। এই অর্থ পাওয়ার কথা ছিল ম্যাচের পর। কিন্তু তার আগেই রাজস্থান রয়্যলসের এই ক্রিকেটার পুলিসের জালে ধরা পড়ায়,পুলিস সূত্রের দাবি, অঙ্কিতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা জমা পড়েনি। আইপিএলে গড়াপেটার মারাত্মক অভিযোগ ওঠার পর বেকায়দায় বিসিসিআই। রবিবার সকাল এগারোটায় বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।