মাঝরাতে গলা ভেজাতে গিয়েছিলেন! কড়া শাস্তি পেলেন চিনের ফুটবলাররা
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ছজন ফুটবলার সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মাঝরাতে পানশালায় গিয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- চিন সরকারের দাবি, এথনও পর্যন্ত সেখানে এক লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। কিন্তু চিনের সংবাদমাধ্যম বলছে, সরকারের দেওয়া এই তথ্য ভুলে ভরা। সে যাই হোক, দেশে যাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আর না বাড়ে তার জন্য সবরকম চেষ্টা করছে চিন প্রশাসন। আর তাই দেশের সব নাগরিকদের কয়েকটি নির্দেশ মেনে চলতে বলেছে সরকার। কিন্তু চিনের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কয়েকজন ফুটবলার সরকারি নির্দেশ মানলেন না। তাঁরা মাঝরাতে চলে গেলেন গলা ভেজাতে। গলা ভিজল বটে। কিন্তু তার পরিবর্তে এবার কড়া শাস্তি ভোগ করতে হবে ওই ফুটবলারদের। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ছজন ফুটবলার সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মাঝরাতে পানশালায় গিয়েছিলেন। জানাজানি হওয়ার পর সেই ছয় ফুটবলারের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিনের ফুটবল সংস্থা।
ছজন ফুটবলারকে ছমাসের জন্য নির্বাসিত করেছে চায়নিজ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (সিএফএ)। মাঝরাতে একটু গলা ভেজাতে যাওয়ায় এত বড় শাস্তি! করোনা মহামারি ঠেকাতে এখনও চিনে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেগুলি না মানলে যে কোনও নাগরিককে কড়া শাস্তি ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছে চিনের প্রশাসন। চিনের উহান থেকে ছড়াতে শুরু করেছিল করোনা। যা কিনা এখন সারা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলে চিনকে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে। আমেরিকা দাবি করেছে, চিন সরকার সময়মতো জানালে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হত। প্রাণঘাতী ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়েও পড়ত না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবার এমনও দাবি করেছেন, উহানের একটি ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে এই মারণ ভাইরাস। অর্থাত্ করোনা কৃত্রিমভাবে তৈরি করেছে চিন।
আরও পড়ুন- সৌরভ গাঙ্গুলি আইসিসি প্রেসিডেন্ট হলে তাঁর শাস্তি মুকুব হবে, আশায় পাকিস্তানের হিন্দু ক্রিকেটার
চিনে পেশাদার ফুটবলারদের কোনও সংগঠন নেই। তাই সিএফএ-র দেওয়া এই শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করার কোনও সুযোগও নেই ওই ছজন ফুটবলারের কাছে। আপাতত ওই ছজন ফুটবলার ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত খেলতে পারবেন না। ওই ছজন ফুটবলার যে ক্লাবগুলির হয়ে খেলেন তারাও শাস্তি ঘোষণা করবে এর পর। অলিম্পিকের জন্য ফুটবলারদের তৈরির কথা ভেবেছিল চিন। তার জন্য ফুটবলারদের তৃতীয় বিভাগে খেলানো হত। কিন্তু এই ছজন ফুটবলারকে সব পরিকল্পনা থেকে বাদ দিয়েছে চিনের ফুটবল সংস্থা।